বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা পাওয়া ‘দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে’র একটা ইতিহাস আছে। তার এক ঝলক দেখতে পাওয়া যাবে ঘুম স্টেশনে এলে। ১৮৮১ সালে গড়ে ওঠা এই স্টেশনে তৈরি হয়েছে একটা মিউজিয়াম, যেখানে মিটবে অশেষ কৌতূহল। এখানে রয়েছে রেলের ক্রসিং লিভার, রেল লাইনে ঘন কুয়াশা থাকলে যা সিগন্যালের কাজে ব্যবহার করা হত সেই ঘণ্টা, রেলের প্রাচীন পোস্ট, লুব্রিকেটিং মেশিন, পুরনো কিছু টিকিটের সংগ্রহ, ঘড়ি, গার্ডের ব্যাজ, বাঁশি ইত্যাদি। প্রদর্শিত হয়েছে ১৯১৩, ১৯২৭, ১৯৪৫, ১৯৪৭ সালের রেল লাইনের অংশ বিশেষও। দেওয়ালে রাখা সাদা-কালো ছবিগুলি রেলের উজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে। এগুলির মধ্যে রয়েছে গোড়ার দিকের যাত্রী-সহ ট্রেনের ছবি, রেলপথের নকশা, দার্জিলিং স্টেশন, পাগলাঝোরায় ‘ইউ’ টার্নের ছবি, ১৯৩৯ সালে তোলা তদনীন্তন জেনারেল ম্যানেজারকে অভিনন্দন জানানোর জন্য রেলকর্মীদের সমাবেশ, ১৮৮২ সালে রেলপথ নির্মাণের পরে প্রথম লোকোমোটিভ। রয়েছে ১৯৫০ সালে বন্যা ও ধসে সোনাদার কাছে ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ ও পাহাড়ি পথে সেতুর নীচ দিয়ে তৈরি হওয়া টানেলের ছবিও। সংগ্রহে রয়েছে ১৯০০ সালে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত এই রেলপথ সম্পর্কিত নানা প্রতিবেদন। এক কথায় ‘দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে’ গড়ে ওঠার সংক্ষিত ইতিহাস শোভা পাচ্ছে দেওয়ালে। সময় থাকলে ঘুরে আসুন। |
সন্তোষকুমার চক্রবর্তী-র প্রথম গ্রন্থ ‘স্মৃতিসুধা’র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল মালদহের আইএমএ ভবন কক্ষে। উদ্বোধন করলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ আনন্দগোপাল ঘোষ। লেখক এ বছর ৮৮ বছরে পা দিয়েছেন। সাড়ে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অধ্যাপনা করেছেন মালদহ কলেজে। শিক্ষার্থী জীবনের স্মরণীয়দের স্মৃতিকথা নিয়ে গ্রন্থটির প্রথম পর্যায় ‘মনে পড়ে’। দ্বিতীয় পর্যায়‘মালদহ কলেজের প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে’। তৃতীয় পর্যায় ‘মালদহ জেলার উচ্চ শিক্ষা প্রসার: প্রসঙ্গ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়’। |