টুকরো খবর
গুটখা বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কড়া কেন্দ্র
তামাকযুক্ত মশলা ও গুটখা বিক্রি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কয়েক বছরে গোটা দেশে মুখের ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা হঠাৎই বেড়ে যাওয়ায় ২০১১ সালে তামাকযুক্ত মশলা ও গুটখা নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ১৭টি রাজ্য ওই পরামর্শ মেনে গুটখার বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, আইন বাঁচাতে বহু রাজ্যেই পানমশালা ও জর্দা আলাদা ভাবে বিক্রি হচ্ছে। কেন না, মশলা ও তামাক আলাদা ভাবে উৎপাদন বা বিক্রি করায় বাধা নেই। এর ফলে নেশাড়ুরা মশালা ও জর্দা আলাদা ভাবে কিনে মিশিয়ে নিয়ে খাচ্ছেন। মন্ত্রকের বক্তব্য, এর ফলে মুখের ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা কমছে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ আজ বলেন, “বেশ কিছু রাজ্য বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা গুটখা ও তামাকযুক্ত মশলার ব্যবহার বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর।” সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খাদ্য সুরক্ষা আইনের ধারায় গত বছরই গোটা দেশে গুটকা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি ওই পরামর্শ না মানায় পরিকল্পনাটি হোঁচট খেয়েছে। যেমন বিহার ও ঝাড়খণ্ড নিজেদের গুটখা উৎপাদন ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ করেনি। মন্ত্রকের বক্তব্য, পাশের রাজ্য থেকে গুটখা যে রাজ্যে নিষিদ্ধ, সেখানেও চোরাচালান হয়ে চলে আসছে। ফলে বিক্রি বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেই দেশের বাকি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও যাতে গুটখা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সে জন্য মাঠে নামছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ফের চিঠি লিখতে চলেছেন মন্ত্রী। জন সচেতনতা বাড়াতে প্রচারও শুরু করা হচ্ছে।

ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত বহু
গত সাত দিনে বেলডাঙা-১ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের অন্তত ২০ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল আক্রান্তেরা কেউ বেডে আবার কেউবা মেঝেতে শুয়েই স্যালাইন টানছেন। বেলডাঙার মাড্ডার বাসিন্দা গোপীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমার ভাইয়ের বৌ, ব্রততী মুখোপাধ্যায় ডাইরিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বাড়িতে দুই ভাইও অসুস্থ। প্রতিবেশি সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ও ডায়রিয়া আক্রান্ত।” বেলডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার দেবদত্ত বড়াল বেলেন, “শিশু সমেত বেশ কয়েকজন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত গয়ে চিকিৎসাধীন। বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে। ছুটিতে আছি।” হাসপাতালের চিকিৎসক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত এক সপ্তাহে ব্লকের বিভিন্ন এলাকার ডায়েরিয়া আক্রান্তেরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অনেককে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১০ জন চিকিৎসাধীন। পানীয় জল থেকেই এই রোগ ছড়াচ্ছে। রোগীদের বিশুদ্ধ পানীয় জল খেতে বলা হচ্ছে। পানীয় জলের সমস্যা থাকলে জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” রোগের কথা স্বীকার করেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত রায়। তিনি বলেন, “বেলডাঙা ও রেজিনগরের জনাদশেক ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী এখানে চিকিৎসাধীন। পুকুরের জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে।”

বিপন্ন শৈশব
ব্যস্ত রাস্তার পাশে বাস করলে বেড়ে যেতে পারে শৈশবে অটিজমের সম্ভাবনা। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মাতৃ গর্ভে থাকাকালীন বা জন্মের পর প্রথম বছরে বায়ু দূষণের প্রভাব শিশুদের মধ্যে এই রোগের সম্ভাবনা বহু গুণে বাড়িয়ে দেয়। যেখানে যানবাহনের দূষণ বেশি, সেই এলাকায় বসবাস করা শিশুদের মধ্যে অটিজমের সম্ভাবনা অন্য এলাকায় বাস করা শিশুদের থেকে তিন গুণ বেশি।

স্বাস্থ্য প্রকল্পে দেরি কেন, প্রশ্ন কেন্দ্রীয় সচিবের
কেন্দ্রের অনুদানে রাজ্যে স্বাস্থ্য প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রসন্ন প্রধান। স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্যসচিব সতীশ তিওয়ারি এবং অন্য কর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক করেন তিনি। প্রধান এটাকে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বললেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শম্বুক গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের অর্থ কেন নির্দিষ্ট সময়ে খরচ হচ্ছে না, আদিবাসী এলাকায় স্বাস্থ্য প্রকল্প থমকে আছে কেন, টিকাকরণ নিয়ে কেন কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে অভাব ঘটছে এই সব প্রশ্নও ওঠে। স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “বিশেষ কোনও আলোচ্যসূচি ছিল না। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি কী অবস্থায় আছে, প্রধান তা জেনেছেন। তবে কোনও প্রকল্প পরিদর্শনে যাননি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.