তেহট্টে দলীয় কর্মিসভায় কর্মী-সমর্থকদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
প্রকাশ্যেই দলীয় নেতারা ‘তোলাবাজি’ করছেন বলে তোপ দেগে দলে অস্বস্তি বাড়িয়েছেন সদ্য-প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। কারিগরি দফতর থেকে সরতে হওয়ায় ‘কাজ বাকি’ থেকে গেল বলে উষ্মা আড়াল করেননি মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্ট্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার সকালে দলের বিধায়ক শোভনদেব চট্ট্যোপাধ্যায়ও কর্মীদের হাতে হেনস্থা হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। আর বিকেলেই দলের শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় কর্মীদের ‘ক্ষোভের’ মুখে পড়ায় দলের নিচুতলার কর্মীদের ‘উত্তাপের’ আঁচও এ বার বাইরে এসে পড়ল।
মঙ্গলবার দুপুরে তেহট্টে যান মুকুলবাবু। পুলিশের গুলিতে নিহত ও আহতদের বাড়িতে গিয়ে সরকারি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে স্থানীয় দীনবন্ধু মিত্র মঞ্চে কর্মিসভায় গিয়েছিলেন তিনি। এই সময়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস সাহার অনুগামীরা হঠাৎ বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে মুকুলবাবুর মন্তব্য: “গোটা বিষয়টি দল ভাল করে বুঝি, তারপরে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব।”
এ দিন মুকুলবাবু আসছেন খবর পেয়ে তেহট্ট মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন। কর্মিসভায় মুকুলবাবু বলেন, “অনেকেই তেহট্টের ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছেন। তেহট্টে পুলিশের গুলি চালানো উচিত হয়নি। এটা দুঃখজনক। এই ক্ষত দ্রুত ভুলতে চাইছেন তেহট্টের মানুষ।”
তিনি বক্তব্য শেষ করে মাইক্রোফোন রাখতেই উপস্থিত তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ দাবি তোলেন তাপস সাহাকে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে হবে। মুকুলবাবু অবশ্য কোনও কথা বলেননি। মাইকে সভা সমাপ্তির কথা ঘোষণাও করে দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় ওই নেতার অনুগামীরা হইচই শুরু করে দেন। কথা না বাড়িয়ে মুকুলবাবু সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। এই ঘটনায় হতাশ তাপসবাবু বলেন, ‘‘তেহট্টে দলের দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। ভেবেছিলাম মুকুলদা আমাকে কিছু একটা বড় দায়িত্ব দেবেন। কিছুই পেলাম না।’’ |
রিপোর্ট তলব কমিশনের |
তেহট্টে পুলিশের গুলিচালনা নিয়ে রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে রাজ্য ও পুলিশকে নোটিস পাঠানো হয়েছে তাদের তরফে। |
|