|
|
|
|
চক্রান্তের অভিযোগ |
সিপিএম নেতার ‘বাড়ি থেকে’ উদ্ধার বন্দুক, মাওবাদী পোস্টার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মিছিল নিয়ে গোলমালের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল ঝাড়গ্রামের চন্দ্রি এলাকার সিপিএম নেতা প্রশান্ত দাসকে। এ বার তাঁর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছে বলে আদালতে দাবি করল পুলিশ। যদিও ওই সিপিএম নেতা ও তাঁর পরিজনদের অভিযোগ, পুলিশ গোটা ঘটনাটি সাজিয়েছে।
প্রশান্তবাবু সিপিএমের আগুইবনি লোকাল কমিটির সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের চন্দ্রি অঞ্চলে সিপিএমের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়। সেই রাতেই গ্রেফতার হন প্রশান্তবাবু-সহ সিপিএমের ৬ জন নেতা-কর্মী। প্রশান্তবাবুকে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষের দাবি, “পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন প্রশান্তবাবুকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। |
|
ধৃত প্রশান্ত দাস। ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
তখন আগ্নেয়াস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি, মাওবাদী পোস্টার, পুস্তিকা ও টাকা তোলার রসিদ-বই পাওয়া গিয়েছে। ওই সিপিএম নেতার সঙ্গে মাওবাদী যোগসূত্রের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “এ ব্যাপারে এখনই কোনও মন্তব্য করব না।” মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে দাবি করা হয়েছে, সোমবার রাতে প্রশান্তবাবুকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে চন্দ্রির আউসপালে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ৮ ইঞ্চি লম্বা পাইপগান, ২ রাউন্ড গুলি ও ৭টি মাওবাদী পোস্টার পাওয়া গিয়েছে। প্রশান্তবাবুকে আরও তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায়।
এ দিন আদালতে ঢোকার সময় প্রশান্তবাবু অবশ্য বলেন, “আমার বাড়িতে কোনও অস্ত্র ছিল না। আমি চক্রান্তের শিকার।” একই বক্তব্য তাঁর পরিজনদের। সোমবার রাতেই প্রশান্তবাবুর স্ত্রী গৌরীদেবী সংবামাধ্যমের প্রতিনিধিদের ফোন করে অভিযোগ করেছিলেন, “রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আমার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি করতে আসে। পুলিশ সঙ্গে নিয়ে আসা দেখিয়ে একটা বন্দুক দাবি করে, আমাদের দোতলার ঘরে আলমারির তলা থেকে পেয়েছে।” গৌরীদেবীর আরও অভিযোগ, স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মীকে সাক্ষী হিসেবে ‘সিজার লিস্ট’-এ সই করায় পুলিশ। পুলিশ অবশ্য এ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। |
|
|
|
|
|