হেস্টিংস মিলের আবাসন চত্ত্বরে দুষ্কৃতীকে গুলি করে খুনের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে মঙ্গলবার ধরল পুলিশ। তাদের নাম শেখ সাজ্জাদ এবং শেখ সলমন। দু’জনেরই বাড়ি রিষড়ায়। সলমন দিল্লিতে কাজ করে। কয়েক দিন আগে সে রিষড়ায় এসেছিল। মঙ্গলবার রাতে হেস্টিংস মাঠ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেন রিষড়া থানার ওসি অনুদ্যুতি মজুমদার। জেরায় পুলিশ জেনেছে, নিহত শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে গোরের সঙ্গে সাজ্জাদ এবং সলমনের সম্পর্ক ভালই ছিল। কয়েক দিন আগে গোরের পরিচিত এক যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেয় সলমন অথবা সাজ্জাদ। তখন গোরে তাকে মারধর করে। তখনই সম্পর্কে চিড় ধরে। সেই রাগেই গোরেকে খুনের ছক কষে ওই দু’জন। রবিবার সন্ধ্যায় সাজ্জাদ এবং সলমন হেস্টিংস আবাসন চত্ত্বরে বসে মদ খাচ্ছিল। তারা গোরেকে ডেকে নেয়। একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গোরেকে তারা বিক্রি করতে বলে। এর পরেই ওই আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই প্রথমে গোরের বুকে গুলি করে তারা। তার পর গলায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতেরা খুনের কথা কবুল করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।” |
পুকুরে ডুবে মৃত্যু হল এক বালক এবং এক বালিকার। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবার সুগন্ধ্যার দোলবাড়ি এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম স্বর্ণালী পাল (১১) ও আয়ুষ সাহা (১০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলবাড়ি এলাকায় একটি পুকুরের পাশে মাঠে অন্য দিনের মতোই খেলাধুলো করছিল কয়েকটি ছেলেমেয়ে। সন্ধ্যা নামার মুখে অন্যেরা বাড়ি ফিরে যায়। সে সময়ে কোনও ভাবে পুকুরে পড়ে যায় স্বর্ণালী ও আয়ুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের হাবুডুবু খেতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে জাল ফেলে দু’জনকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। |