১৮ ম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১৭ নভেম্বর বাংলা আকাদেমির প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হল উত্তরবঙ্গে নির্মিত ‘আ ডিসকোর্স অন ডিপ্রেশন’ শীর্ষক শর্ট ফিল্মটি। শিলিগুড়ি নিবাসী পরিচালক অভিষেক রায়-এর এই চলচ্চিত্রটি আগে প্রদর্শিত হয় এপ্রিল মাসে গ্রেটার নয়ডায় দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভালে। শর্ট ফিল্ম বিভাগে নির্বাচিত ২৯ মিনিটের পরীক্ষামূলক সিনেমায় পরিচালক তাঁর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছেন এক সৃজনশীল মনের গভীরতম কোণে। সে জন্য তিনি ব্যবহার করেছেন কিছু রং, ছবি ও প্রতীকী দৃশ্য ও বস্তু। অন্ধকার থেকে উঠে আসে লাল, নীল ,হলুদের মতো কিছু রং। উঠে আসে স্বগতোক্তি। চলতে থাকে টুকরো মুহূর্তেরা। ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যের টুকরো অংশ আর কবিগুরুর গানের খন্ডাংশগুলো তিনি বেঁধেছেন কিছু ‘রানিং শট’, ‘রিভার্স শট’-এর বাঁধনে। আবহ হিসাবে সেতারের সুর ব্যবহার করা হয়েছে। বাজিয়েছেন শুভব্রত দে। গানে প্রমা চক্রবর্তী। ভাষ্যে সমর চক্রবর্তী, সম্পাদনায় অভিজিৎ সরকার, সহ পরিচালক নবীন বন্দোপাধ্যায়, প্রযোজনা জয়া গুহ। সনাতন এবং জুম ছবির চরিত্রায়নে।
|
বাংলা নাটকের জগতে শিলিগুড়ির ‘ঋত্বিক’ নিজের জায়গা ইতিমধ্যেই তৈরি করে নিয়েছে। সংস্থাটি নিয়মিত আয়োজনের ধারাবাহিকতাও বজায় রাখছে। গত ৭ থেকে ১১ অক্টোবর শিলিগুড়ি নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল তারা। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহায়তায় আয়োজিত ওই উৎসবের নাম, ‘ঋত্বিক উৎসব-২০১২।’ বালুরঘাটের নাট্যকর্মী, গোবরডাঙার শিল্পায়ন, মালদহের মালঞ্চ ও বহরমপুরের ‘ঋত্বিক’ আমন্ত্রিত হয় ওই উৎসবে। উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত ও গোবরডাঙার শিল্পায়নের নির্দেশ আশিস চট্টোপাধ্যায় ও দামামার পরিচালক পার্থ চৌধুরী। প্রথম দিন বালুরঘাটের নাট্যকর্মীর ‘ঘরকথা’ ও গোবরডাঙা শিল্পায়নের ‘তারাপ্রসন্নের কীর্তি’ মঞ্চস্থ হয়। দ্বিতীয় দিন গোবরডাঙার সংস্থাটির ‘কর্ণেলকে কেউ চিঠি লেখে না’ মঞ্চস্থ হয়। তৃতীয় দিন মালদহের মালঞ্চের ‘রানিরঘাটের বৃত্তান্ত’ হয়। ১০ অক্টোবর উদ্যোক্তা ঋত্বিকের ‘স্বাধীনতা’ মঞ্চস্থ হয়। নাটক ও নির্দেশনা মলয় ঘোষ। স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরেও মানুষ কতটা স্বাধীন সেই প্রশ্নকে ঘিরেই আবর্তিত হয় কাহিনি।
|
‘দামামা’ নাট্য সংস্থার উদ্যোগে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে শুরু হচ্ছে নাট্য সমারোহ। ১০ ডিসেম্বর নাট্যোৎসবের সূচনা হবে। চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম দিন বাংলাদেশের বহুরূপী নাট্য সংস্থার ‘মহুয়া’ মঞ্চস্থ হবে। নির্দেশনায় শাহাদাত হোসেন খান নীলু। ১১ ডিসেম্বর সংস্থার ‘আগুনমুখো’ নাটক। ১২ ডিসেম্বর কলকাতার ‘অর্ঘ্য’ নাট্য সংস্থার প্রযোজনা ‘ডাকঘর’। নির্দেশনায় মণীশ মিত্র। পর দিন কলকাতার ‘সায়ক’ নাট্য সংস্থার ‘পিঙ্কি বুলি’। নির্দেশক মেঘনাদ ভট্টাচার্য। শেষে কলকাতার শূদ্রক’ নাট্য সংস্থার ‘দহনান্ত’। অভিনয়ে দেবশঙ্কর হালদার ও নাটক ও পরিকল্পনায় দেবাশিস মজুমদার। পাশাপাশি, দামামার উদ্যোগেই ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টেয় রামকিঙ্কর হলে বাংলাদেশের অন্যতম নাট্য ব্যক্তিত্ব সৈয়দ জামিল আহমেদ দুটি বিষয়ে বক্তৃতা দেবেন। প্রথমটি হল, ‘আমার থিয়েটার সহবাস: অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি। দ্বিতীয় বিষয়, এই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার থিয়েটারের প্রবণতা। দামামা তাঁকে সংবর্ধনাও দেবে।
|
কাজের চাপে হাসতে ভুলে গিয়েছেন শহরবাসী। মানুষকে হাসাতে সম্প্রতি ইসলামপুর জেলখানা ময়দানে অনুষ্ঠিত হল হাসির আসর। হাসির আড্ডা নামক সংস্থার উদ্যোগে হওয়া ওই হাসির আসরে উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক, সরকারি আধিকারিক, শিক্ষক, ইসলামপুর সংশোধনাগারের আধিকারিক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী সহ নানা বয়সের বাসিন্দারা। কেবল হাসির গান, হাসির কবিতা, হাস্য কৌতুকে অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুশান্ত নন্দী।
|
শিশুরাও যে সুন্দর ভাবে একটা বড় অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে শিশুরা তা বুঝিয়ে দিল ইসলামপুর কালচারাল সোসাইটি। রবিবার ইসলামপুর কালচারাল সোসাইটির উদ্যোগে ইসলামপুর টাউন লাইব্রেরি হলে ওই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে শিশুদের হাতেই ছিল সঞ্চালনার ভার। আবার শিশুরাই অংশগ্রহণ করেছিল অনুষ্ঠানে। অদ্রিজা দাস, অর্থিতা ভট্টাচার্য এবং শ্রেয়সী বাগচীর সঞ্চালনায় হাততালিতে মুখর হয় হল।
|
‘কবিতা পাক্ষিক-৫০০’ এর তরফে পুরস্কৃত হলেন উত্তরের দুই কবি রাজীব সিংহ এবং সুবীর সরকার। গত ১৭ নভেম্বর কালীঘাট মিলন সঙ্ঘে একটি অনুষ্ঠানে কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁদের হাতের পুরস্কার তুলে দেন। সেখানে লিটল ম্যাগাজিন কবিতা পাক্ষিকের ৫০০ তম সংখ্যা দুটি খন্ডে প্রকাশিত হয়। শিলিগুড়ির লিটল ম্যাগাজিন বিক্রেতা তপন মজুমদারকে ওই অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়। |