স্বাস্থ্য পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ উঠলে ছেড়ে কথা বলবে না জিটিএ। এ কথা জানিয়ে দিলেন জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ বিমল গুরুঙ্গ। প্রয়োজনের বরখাস্তের মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে গুরুঙ্গ হুমকি দেন। শুক্রবার বিকালে দার্জিলিঙের গোর্খা রঙ্গমঞ্চে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই ঘোষণা করেন গুরুঙ্গ। তাঁর কথায়, “পাহাড়ের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবস্থা ভাল নয়। কর্মী কম, আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই তা সব জানি। জিটিএ-র তরফে ধাপে ধারে ব্যবস্থা হবে। কর্তব্যে গাফিলতি, কাজে সময়মত না আসা, অকারণে ছুটি বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে বরখাস্ত করা হবে।” জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এদিন প্রথম স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসেন গুরুঙ্গ। বৈঠকে জিটিএ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যনির্বাহী সদস্য তথা গুরুঙ্গের স্ত্রী আশা গুরুঙ্গও উপস্থিত ছিলেন। আশাদেবী অবশ্য এতটা সুর চড়া করেননি। তিনি বলেছেন, “সবাইকে একসঙ্গে সমস্যার মধ্যে কাজ করে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। বাকি বিষয়টি জিটিএ থেকে দেখা হবে। পাহাড়ের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল দ্রুত ফেরাতেই হবে।” এদিনের বৈঠকে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতাল ছাড়াও তাকদা, বিজনবাড়ি, পেদং, মিরিক, সুখিয়াপোখরি-সহ অন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে। বিমল গুরুঙ্গ জানিয়েছেন, কর্মী নিয়োগ, যন্ত্রপাতি, সিটিস্ক্যান, শব্দবিহীন যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা জিটিএ থেকে করা হবে। ইতিমধ্যে প্রয়াত বাবা ভরত গুরুঙ্গের স্মরণে পেদন হাসপাতালে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জেনারেটরের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি জিটিএ সঙ্গে আলোচনার পর দার্জিলিং হাসপাতালে এমআরআই ইউনিট বসানোর ব্যবস্থা করতে চলেছে এনএইচপিসি।
|
বাসি খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ বেড়ে ৭০ |
বাসি ভোগ খেয়ে অসুস্থের সংখ্যা অন্ডালে বেড়ে দাঁড়াল ৭০। অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন চার বৃদ্ধ-সহ ২৭ জন শিশু। প্রত্যেককেই খান্দরা ব্লক প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কালীপুজোর অষ্টমঙ্গলা উপলক্ষে বুধবার খিচুড়ি ও মাংস রান্না করা হয়েছিল। কিছুটা বেঁচে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সেই খাবার অনেকেই খেয়েছিলেন। সন্ধ্যা থেকেই শরীর খারাপ হতে থাকে তাঁদের। রাত পর্যন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫৫ জনকে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার দুপুরে আরও ১৫ জন ভর্তি হন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কালিয়া বাউরির বক্তব্য, অসুস্থতার জেরে তাঁর বড় ছেলে শুক্রবার উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা দিতে পারেনি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি দুই ছেলে ও দুই নাতিকে নিয়ে ভর্তি রয়েছেন অপর্ণা বাউরি। তাঁর কথায়, “এমন হবে ভাবিনি।’’ আতঙ্কের রেশ কাটেনি প্রবীণ বাসিন্দা কান্তবাবুরও। তিনি বলেন, “আগেও বাসি ভোগ খেয়েছি। এমন কখনও হয়নি।” ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ বিমান মণ্ডল বলেন, “কোনও ভাবে খাদ্য বিষক্রিয়া ঘটাতেই এই বিপত্তি। তবে এখন অবস্থা নিয়ন্ত্রণে।”
|