মডিউলার বাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে ‘মডিউলার’ পদ্ধতির বাড়ি নির্মাণ শিল্প গড়তে আগ্রহী ব্রিটেনের ব্যবসায়ীরা। বহুতলের বিভিন্ন অংশ মূল ভূমিতে না করে কারখানায় তৈরি হবে। পরে সেই অংশগুলি জুড়ে দ্রুত বহুতল তৈরি হবে। লন্ডন থেকে ফিরে শুক্রবার পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওই খবর জানান। মন্ত্রী বলেন, “এই শিল্পের পাশাপাশি কলকাতায় বাড়ি, সড়ক ও জলপথ পরিবহণ, গঙ্গার পাড় সৌন্দর্যায়নে লগ্নির আগ্রহ দেখিয়েছেন ব্রিটেনের ব্যবসায়ীরা।” সে দেশের পরিবেশ ও বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী (যিনি মন্ত্রিসভায় ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত) গ্রেট বার্কের সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের বৈঠকে ঠিক হয় সব বিষয়ে সবিস্তার খোঁজ নিতে ও প্রয়োজনে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করতে জানুয়ারিতে ব্রিটেনের বিনিয়োগকারীরা রাজ্যে আসবেন।
|
শিশু-মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র পর্ষদের আওতায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এসএসকে) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র (এমএসকে) আসছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে। শুক্রবার স্কুলশিক্ষা ও পঞ্চায়েত দফতরের যৌথ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার টাউন হলে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এসএসকে-এমএসকে-র অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তার পরই তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে সমস্যা মেটাতে দুই দফতর উদ্যোগী হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসএসকে-এমএসকে-এর পরিচালন সমিতিগুলি ভেঙে দেওয়া হবে। সেগুলিকে প্রাথমিক ও
মাধ্যমিক পর্ষদের আওতায় আনার পদ্ধতি ঠিক করতে পঞ্চায়েত স্তরে বিডিও-র নেতৃত্বে ৬ জনের একটি কমিটি তৈরি হবে।
|
স্কুল গড়তে জমির ন্যূনতম পরিমাণ কমাল আইসিএসই |
স্কুল খুলতে ন্যূনতম জমির পরিমাণ কমাচ্ছে আইসিএসই কাউন্সিল। এত দিন শহরাঞ্চলে আইসিএসই স্কুল গড়তে ০.৫ একর এবং আইএসসি স্কুল গড়তে এক একর জমি লাগত। জমির অভাবের জন্য সেটা দু’ক্ষেত্রেই ০.৫ একর করা হয়েছে বলে শুক্রবার, অ্যাসোসিয়েশন অফ স্কুলস ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেটের বার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিনে জানানো হয়। গ্রামাঞ্চলে ন্যূনতম জমির পরিমাণ দুই একর থেকে কমিয়ে এক একর করা হয়েছে। সব স্কুলে মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ক্লাস চালু করতে হবে। এ রাজ্যের বেশির ভাগ স্কুলেই ওই সময়ে ক্লাস চালু হয়। রামমোহন মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস জানান, তাঁদের ক্লাস শুরু হয় এপ্রিলে। সেন্ট্রাল মডার্ন স্কুলের নবারুণ দে-ও একই কথা জানান। তবে কিছু রাজ্যে জানুয়ারি থেকে জুলাই যে-কোনও সময়ে ইচ্ছেমতো ক্লাস শুরু হত। সেই প্রবণতা ঠেকাতেই কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে কাউন্সিল।
|
স্কুল পরিদর্শনে প্রাক্তন শিক্ষকও |
স্কুল পরিদর্শক পদের একটা বড় অংশই খালি। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরও পরিদর্শনের কাজে লাগাতে চায় স্কুলশিক্ষা দফতর। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এটা চালু হবে বলে আশা করছেন স্কুলশিক্ষা কর্তারা। যে-সব প্রাক্তন শিক্ষক পরিদর্শনের কাজ করবেন, তাঁদের বয়স হতে হবে অন্তত ৬৫ বছর। সেই সঙ্গে ন্যূনতম ২০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। |