অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। গত ২১ নভেম্বর ভোরে ব্যারাকপুরের কাঁঠালিয়ায় এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে দোতলার সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন অর্ক ঘোষ (২১) নামে ওই ছাত্র। ব্যারাকপুরের নার্সিংহোম থেকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয় তাঁকে। শুক্রবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভোর চারটের সময়ে তিনি কেন সিঁড়িতে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে ধন্দে পরিবার, সহপাঠী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অর্কর বাড়ি শিলিগুড়ির প্রধাননগরে। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কলকাতা পৌঁছেছেন অর্কর বাবা বিপুল ঘোষ। এ দিন তিনি বলেন, “ওর সহপাঠীরা তো আমার ছেলের মতোই। কারও বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই। শুধু একটাই অনুরোধ, তদন্তটা যেন ঠিকঠাক হয়। কী ভাবে ঘটনাটা ঘটল, এটাই আমরা জানতে চাই।’’ অর্কর মাসি বনশ্রী গুহ বিশ্বাস বলেন, ‘‘পূর্ব যাদবপুর ও পরে টিটাগড় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়ে।’’
অর্কর মৃত্যুতে হতবাক তাঁর সহপাঠীরাও। সকলেরই বক্তব্য, ভাল ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল চতুর্থ বর্ষের ওই পড়ুয়া। ভোর চারটের সময়ে নিজের ঘর থেকে দোতলার সিঁড়িতে কেন তিনি যান, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে সকলেরই।
কলেজের প্রশাসনিক আধিকারিক প্রমোদ কর বলেন, “ঘটনাটা খুব অস্বাভাবিক। অর্কর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক আচরণ দেখিনি কখনও। আমরাও চাই এই ঘটনার তদন্ত হোক।’’ ঘটনার তদন্ত হয়েছে। পরিবারের তরফে সহপাঠী বা কলেজের তরফে কোনও অভিযোগ না থাকলেও অর্কর দেহ অস্বাভাবিক ভাবে সিঁড়িতে উদ্ধার হওয়ায় একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ। |