পূর্বরেলের হাওড়া বিভাগের কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার বাজারসৌ স্টেশনে প্রতিদন ভোর সাড়ে চারটেয় দেখা যায়, স্থানীয় একজন ‘মাসলম্যান’ বীর বিক্রমে তোলা আদায় করছেন সাইকেল নিয়ে ট্রেনে সওয়ার হওয়া সব্জি বিক্রেতাদের কাছ থেকে। হাওড়াগামী ট্রেনটি ওই ‘মাসলম্যান’-এর নির্দেশ পেলে স্টেশন ছাড়ে। মাসিক চুক্তিতে ‘নিযুক্ত’ ওই তোলাবাজ মাসের শেষে স্টেশনবাবুদের ‘প্রাপ্য’ মিটিয়ে দেন। সকাল ১০টার ডাউন ট্রেনটি ভেজাল পনির ও দুধ কারবারিদের সুবিধার্থে ওই স্টেশনে ৫ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়ায়। এ জন্য অবশ্য ‘ট্রেনবাবু’ ও ‘স্টেশনবাবু’রা তাঁদের ‘প্রাপ্য’ বুঝে নেন। সন্ধ্যা ৭টার পর স্টেশন চত্বর চলে যায় সমাজবিরোধীদের দখলে। প্ল্যাটফরমে বসে সাট্টার আসর। বিক্রি হয় চোলাই মদ। স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশ প্রতি সন্ধ্যায় টহল দেওয়ার ভান করে হাজির হয়ে ওই সব অবৈধ কারবারিদের কাছ থেকে ‘প্রাপ্য’ আদায় করে চলে যায়। চুরি, ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা। গত ২৭ অগস্ট দিনের বেলায় যাত্রীবোঝাই কামরায় একজনকে গলা কেটে খুন করে দুষ্কৃতীরা বাজারসৌ স্টেশন নেমে হাজারো মানুষের সামনে দিয়ে চলে যায়। আজও ওই দুষ্কৃতীদের কেউ ধরা পড়েনি। এ ভাবেই কি তবে চলবে?
সুপ্রকাশ চাকি, বাজারসৌ
|
নগর জীবনচর্চায় মহাপুরুষদের মূর্তির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার বিভিন্ন মোড়ে রয়েছেন বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, লেনিন, চিত্তরঞ্জন, নেতাজি, ইন্দিরা গাঁধী, মাদার টেরিজা, কবি সুকান্ত, জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র অভিনেতা বিধায়ক ভট্টাচার্য। নেই কেবল জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি। অথচ ১৯২৫ সালের ৮ জানুয়ারি ‘দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন স্মারক তহবিল’-এর অর্থ সংগ্রহ করতে প্রথমে আজিমগঞ্জে ও পরে জিয়াগঞ্জে পা রেখেছিলেন তিনি। অবিলম্বে তাঁর মূর্তি স্থাপনের জন্য আবেদন জানাই।
সমীর ঘোষ, জিয়াগঞ্জ |