নিগমের ‘প্যাকেজ’ ঘোষণা
আগাম অবসর প্রকল্প নিয়ে এনবিএসটিসি’র
পরিচালন বোর্ডের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়মন্ত্রী
গাম অবসরের আবেদন গৃহীত হওয়ার দিন প্রাপ্য আর্থিক অঙ্কের এক-তৃতীয়াংশ টাকা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের কর্মীদের হাতে দেওয়া হবে। পরে দুই কিস্তিতে বকেয়া মেটানো হবে। দেওয়া হবে পেনশনের সুবিধাও। রবিবার এনবিএসটিসি’র পরিচালন বোর্ডের বৈঠকের পর সংস্থার আগাম অবসর প্রকল্পের প্যাকেজ নিয়ে ঘোষণা করলেন সংস্থা চেয়ারম্যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। স্বেচ্ছাবসরের প্রকল্পটি নিয়ে বোঝাতে কর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “সরকারের পরিবহণ দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি বার হয়েছে। কিছু পদ্ধতিও রয়েছে। তবে বাধ্যবাধকতার ব্যাপার নেই।”
মন্ত্রী জানান, যাঁরা চাইবেন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আগাম অবসর প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করে জমা দেবেন। যে দিন ওই আবেদন গৃহীত হবে সেই দিনই সংশ্লিষ্ট কর্মী পাওনার এক তৃতীয়াংশ টাকা পেয়ে যাবেন। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ৪৫ দিন বাদে দেওয়া হবে। ৯০ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকার প্রাপ্য মিটিয়ে দেবে। প্যাকেজে অবসর নেওয়ার পর পেনশনের সুবিধে মিলবে কী না সে ব্যাপারে কর্মীদের একাংশের জল্পনা মিটিয়ে নিগম চেয়ারম্যান বলেন, “১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আগাম অবসরের আবেদন জমা দিতে হবে। সব ক’টি ইউনিয়ন নেতৃত্বকে ডেকে বিষয়টি বোঝাতে এমডিকে বৈঠক করতে বলেছি।” ১৪ নভেম্বর রাজ্য পরিবহণ দফতর আগাম অবসর প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তাতে ৫০ বছর থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত বয়সসীমার কর্মীরা আবেদন করতে পারবেন। সংস্থার প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্থায়ী কর্মীর মধ্যে দুই হাজারের বেশি কর্মী ওই বয়সসীমায় পড়েন।
প্যাকেজের কিছু বিষয়ে সংযোজনের দাবি তুলছে সংগঠনগুলি। এনবিএসটিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সম্পাদক জগৎজ্যোতি দত্ত জানান, প্যাকেজে যত বছর চাকরি হয়েছে সে হিসাবে প্রতি বছরের জন্য ১৫ দিন, যত বছর চাকরি রয়েছে তার প্রতি বছরের ৪০ দিন হিসাব করে আর্থিক টাকার পরিমাণ চূড়ান্ত হচ্ছে। এতে বেতনের ৪০ শতাংশের বেশি হবে না বলে। তা ঠিক নয়। পেনশন নিয়ে লিখিত নির্দেশমামা প্রয়োজন। তৃণমূলের এনবিএসটিসি ড্রাইভার্স অ্যান্ড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা আবদুর রহমান বলেন, “পাকেজে কর্মীর পরিবারের একজনকে চাকরির বিষয়টি রাখার দাবি জানিয়েছি।” এনবিএসটিসি ওয়ার্কাস ইউনিয়ন ইনটাক নেতা সুজিত সরকার বলেন, “লিখিত নির্দেশ জারি হলে প্যাকেজে সাড়া পড়বে।”
এ দিন বৈঠক শেষ করে গৌতমবাবু বার হওয়ার সময় চাঁচলের বাসিন্দা শিপ্রা চক্রবর্তী স্বামীর সাসপেন্ড প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে মন্ত্রীর পা জড়িয়ে ধরতে যান। গৌতমবাবুকে বলতে শোনা যায়, “নাটক করবেন না। কে পাঠিয়েছে? বাড়িতে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনা হয়। এখানে পায়ে পড়ছেন। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।” আপ্ত সহায়ক থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরে মন্ত্রী শিপ্রাদেবী ও তার স্বামী সত্যেন্দ্রনাথকে নিজের গাড়িতে সার্কিট হাউসে নিয়ে আসেন। দম্পতির সঙ্গে তিনি কথা বলে সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। গৌতমবাবু বলেন, “ওঁদের মানসিক যন্ত্রণাটা বুঝি।” শিপ্রা দেবী বলেন, “স্বামী কৃষ্ণনগর ডিপোর অস্থায়ী কন্ডাক্টর। ৪৮০ টাকা হিসাব না মেলায় ৮ মাস আগে ও সাসপেন্ড হয়। আজকে বৈঠকের খবর দেখে আসি। কেউ পাঠায়নি। উনি সমস্যা মেটান বলে পা ধরতে যাই। কোনও রাজনীতি নেই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.