নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
বিশেষ ধরনের কিছু মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে এ বার ‘প্লি বার্গেনিং কোর্ট’-এর ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।
গত বছরের মে মাসে মালবাজারের রথখোলায় গাড়ি দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত এক গাড়িচালক দুর্ঘটনার মামলায় অন্তত সাত বার জেলা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। রবিবার তিনি বিচারকের কাছে দোষ কবুল করে ১ হাজার টাকা জরিমানা দিলেন। মামলার নিষ্পত্তি হল জলপাইগুড়ির ‘প্লি বার্গেনিং কোর্ট’-এ। সাধারণ লোক-আদালতের মতো ছুটির দিনে কাজ করলেও লোক-আদালতের সঙ্গে এই আদালতের ফারাক রয়েছে। যে মামলা দায়ের হলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হতে পারে এবং দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সেই মামলারই নিষ্পত্তি করতে ‘প্লি বার্গেনিং কোর্ট’। জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে দীর্ঘদিন নিষ্পত্তি না হওয়া মামলার তালিকা থেকে জেলা আদালত বেছে নেয় কোন মামলার বিচার হবে ‘প্লি বার্গেনিং কোর্ট’-এ। এ দিন ছিল সে রকম ১৭টি মামলা। তার মধ্যে ১১টির মীমাংসা হয়। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “এই কোর্টের প্রধান সুবিধা হল মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। এতে জেলা আদালতগুলির প্রচুর সময় বেঁচে যায়। চাপও কমে।” তাঁর ঘোষণা, “সব জেলাতেই এই কোর্ট চালু হবে।”
উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়িতেই প্রথম এই আদালতের কাজ শুরু হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। পুজোর আগেও জেলায় এক বার এই আদালত বসেছিল। সেখানে ৯টি মামলার নিষ্পত্তি হয় বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের সব জেলাতেই আদালতের উপরে মামলার চাপ কমাতে এই কোর্ট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন দফতর।
এ দিন জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ, তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক জন্মেজয় পাত্র এই আদালত পরিচালনা করেন বলে জানা গিয়েছে। |