কৃষ্ণনগর শহরের মধ্যে তৃণমূলের একটি ‘অস্থায়ী শিবিরে’ আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শনিবার গভীর রাতে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেডগেট এলাকায় রাস্তার পাশে বাঁশের মাচার উপর তার্পোলিন টাঙিয়ে তৈরি ওই শিবিরের একটি অংশ আগুনে পুড়ে যায়। কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল সভাপতি শিবনাথ চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই কংগ্রেসের লোকজন আমাদের ওই শিবির পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। এ বার তারা সেটাই করে দেখাল।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সমর চক্রবর্তী বলেন, “ওই ধরনের কাজের সঙ্গে আমাদের দলের লোক কখনই যুক্ত থাকে না। এটা তাদের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
|
স্ত্রী ও কিশোরী কন্যাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে নিজের গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। নাম অসিত দাস (৪৫)। বাড়ি বহরমপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কান্তনগর এলাকায়। রবিবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি নির্মিয়মাণ বাড়ির নিচের তলায় গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অসিতবাবু একটি আবাসনে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরায় স্ত্রী অঞ্জনা দাসের সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। অসিতবাবু অঞ্জনাদেবীর মাথায় আঘাত করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। কিশোরী কন্যা প্রিয়া দাসকেও রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন অসিতবাবু। পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে দেখেন মা ও মেয়ে দু’জনেই ঘরের মেঝেতে পড়ে। প্রতিবেশীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কিন্তু তার আগেই ওই ব্যক্তি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এদিন সকালে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা।
|
বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। নাম বাপি দাস (৪৫)। বাড়ি শান্তিপুরের অদ্বৈত লেন এলাকায়। মৃতের দু’টি হাতে গুরুতর জখম দেখে পুলিশের অনুমান, শনিবার বোমা বাঁধতে গিয়েই তা ফেটে গুরুতর জখম হয়ে রবিবার মারা যান তিনি। নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র অবশ্য বলেন, “অসামাজিক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে ওই ব্যক্তি জড়িত ছিল। বোমা বাঁধতে গিয়েই তা ফেটে ওই ব্যক্তি জখম হন বলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ঘটনার তদন্ত চলছে।” বাপিবাবুর ছেলে ছোটন দাস বলেন, “বোমা বাঁধতে গিয়েই বাবা জখম হন বলে শুনেছি।” শুক্রবার রাতে স্টেশন সংলগ্ন দু’টি পাড়ায় গণ্ডগোল হয়। তারই জেরে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অনুমান। শান্তিপুরের পুরপ্রধান কংগ্রেসের অজয় দে বলেন, “ওই ব্যক্তি তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধী।” তৃণমূলের জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল মৈত্র বলেন, “ওই ব্যক্তি কংগ্রেস আশ্রিত সমাজবিরোধী।”
|
দিনেদুপুরে থানার ভিতর থেকে মোটর সাইকেল চুরি হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার দুপুরে কালীপুজোর ভোগ বিলি করা হচ্ছিল কান্দি থানায়। শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অচিন্ত্য চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই অমর চক্রবর্তী থানার প্রধান গেটের পাশে মোটরবাইক রেখে খিচুড়ি খেতে যায়। ভোগ খেয়ে এসে তাঁরা দেখেন মোটরবাইকটি উধাও। থানার মধ্যেই চুরির ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে। কান্দির পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম রায় বলেন, “থানায় ভিতরে চুরি হওয়াটা লজ্জাজনক। কান্দিতে ঘন ঘন চুরির ঘটনা ঘটলেও, তা প্রতিরোধে পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ছে না।” কান্দি থানার আইসি সুনয়ন বসু বলেন, “মোটর বাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করি তা উদ্ধারও করতে পারব।”
|