|
|
|
|
ভগবানপুরে সিপিএম কর্মীর বাড়িতে লুঠপাট, আগুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
সিপিএম কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভগবানপুর-১ ব্লকের মহম্মদপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পশ্চিমবাড় গ্রামে।
গত কয়েক বছর ধরে এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএমের দ্বন্দ্ব চলছে এই গ্রামে। নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের নান্টু প্রধান ও সিপিএমের তাপস বেরা। তাপসবাবুর বাবা ক্ষুদিরাম বেরা রবিবার থানায় অভিযোগ করেন, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ নান্টু জনা পনেরো লোক নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। ভাঙচুর, লুঠপাটের পাশাপাশি বাড়ির ধানের গোলা, খড়ের গাদায় আগুনও ধরিয়েছেন নান্টুর লোকেরা। সিপিএমের ভগবানপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক সত্যরঞ্জন দাস বলেন, “ঘটনার সময় পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও তারা যায় রবিবার সকালে। এলাকার সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক ছাড়ালেও পুলিশ নিশ্চুপ।” এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ভগবানপুরে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে সিপিএম।
কেলেঘাই সংস্কার প্রকল্পে তোলাবাজি, এমনকী ঠিকাদার ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের হুমকি, মারধর-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে নান্টুর বিরুদ্ধে। তাপসের বাড়িতে হামলার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন নান্টু। তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ। তবে ঘটনাটি শুনেছি। পাল্টা মামলা করে আমাকে চাপে রাখার জন্যই এই ধরনের ঘটনা সাজিয়েছে তাপস বেরা। ৩০ অক্টোবরের পর থেকেই ওই বাড়িতে কেউ থাকতেন না বলে শুনেছি।” ভগবানপুর থানার ওসি আশিস বেরা বলেন, “ভাঙচুর ও আগুনে বাড়ি ও অন্য সম্পতির ক্ষতি হয়েছে। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, আমড়াখালিতে কেলেঘাই নদীর একটি অংশে বাঁশের সাঁকো ও খেয়া পারাপারে নৌকার ব্যবস্থা দেখভালের জন্য পঞ্চায়েত থেকে দরপত্র দেওয়া হয়। সিপিএমের আমলে দরপত্র পেতেন তাপস বেরা। কিন্তু ২০০৩ সালে তৃণমূূল এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দরপত্র পেতেন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে নান্টুর ঘনিষ্ঠরা। তখন ওই খেয়াঘাটের অদূরে একই রকম ভাবে খেয়া পারাপারের পৃথক ব্যবস্থা করেন তাপস। তাতে লোকসান হত নান্টুদের। এই নিয়ে দুই তরফে বিরোধ চলছিল কয়েক বছর ধরে। সম্প্রতি নান্টুকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তাপসের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিশোধ নিতে শনিবার তাপসের বাড়িতে নান্টু ও তাঁর দলবল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ দিকে, একের পর এক মারামারি, লুঠপাটের ঘটনায় বীতশ্রদ্ধ এলাকাবাসী। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণেই অশান্তি কমছে না বলে মত এলাকাবাসীর। তৃণমূল নেতা স্বপন রায় বলেন, “ওই এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয়।” |
|
|
|
|
|