পুস্তক পরিচয় ২...
স্মৃতির গন্ধ বড় অপরূপ বেদনাময়
দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্মধর্মের উদ্গাতারূপে রামমোহনের পরিপূরক হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি ব্রাহ্ম হয়েও হিন্দু সমাজের ভাঙনকে প্রতিরোধ করেছিলেন। তিনি সকল ধর্মেই সমদৃষ্টি প্রকাশ করেছিলেন।— জানানো হয়েছে এবং এই সময়-এর (সম্পা: অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়) সম্পাদকীয়তে। ‘মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশেষ সংখ্যা’টিতে তাঁর জীবন ও সাধনার বিভিন্ন দিক আলোচিত। রবীন্দ্রনাথ লিখছেন তাঁর পিতা সম্পর্কে: ‘তিনি কোনো বিশেষ মতকে অভ্যাস বা অনুশাসনের দ্বারা আমাদের উপরে স্থাপন করতে চান নাই ঈশ্বরকে ধর্মকে স্বাধীনভাবে সন্ধান করিবার পথ তিনি আমাদের সম্মুখে মুক্ত করিয়া দিয়াছেন।’
রবীন্দ্রসার্ধশতবর্ষে বালি সাধারণ গ্রন্থাগারের শ্রদ্ধার্ঘ্য: বালি সাধারণ গ্রন্থাগার-এ ‘রবীন্দ্রনাথ’। নিবেদন-এ প্রকাশ, ‘রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যাঁরা প্রামাণ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন (১৯১২-২০১২) অজিতকুমার চক্রবর্তী থেকে অরবিন্দ দাস এই গ্রন্থাগার-এ উপস্থিত।’ গ্রন্থাগারে রক্ষিত রবীন্দ্রবিষয়ক সব বইয়ের সুসংকলিত একটি পঞ্জি।
‘মার্ক্সের তত্ত্ব আলোচনার অনেক সূত্র আমাদের কাছে কখনো কখনো বিজ্ঞানের অমোঘ নিয়মের কঠোরতায় প্রতিভাত হয়। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বেশি আচ্ছন্ন না হলে মার্ক্সের দার্শনিক পাঠের দিকে আমরা তুলনায় সহজে এগোতে পারব।’ লিখেছেন সৌরীন ভট্টাচার্য তাঁর ‘দুই মার্ক্সের গপ্প’-এ। শারদীয় পরিচয়-এ (সম্পা: বিশ্ববন্ধু ভট্টাচার্য) শোভনলাল দত্তগুপ্তও লিখেছেন ‘লুই আলথুসের (১৯১৮-১৯৯০)-এর মার্কস’ নিয়ে। ‘সমাজতন্ত্র ও বাজার অর্থনীতি’ নিয়ে রতন খাসনবীশ। হেমাঙ্গ বিশ্বাসকে নিয়ে লিখেছেন তাঁর ভাই হিমেন্দু বিশ্বাস। অশোক ভট্টাচার্য চল্লিশের দশকের শেষার্ধে কমিউনিস্ট আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতার নিরিখে স্মরণ করেছেন সলিল চৌধুরীকে। ‘বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগর: দুই মেরুর মান্যপ্রতিমা’ নিয়ে আশীষ লাহিড়ী, ‘শিক্ষাব্যবস্থার দুই মেরু’ নিয়ে দীপেন্দু চক্রবর্তী, রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহনকে নিয়ে গৌতম নিয়োগী। তথ্যঋদ্ধ প্রবন্ধ প্রবীর বসুর ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস ও রবীন্দ্রনাথ’।
কৃষ্ণেন্দু চাকীর প্রচ্ছদে ‘একটি আত্মকথার ষাণ্মাষিক’ রাবণ-এর সম্পাদকীয়তে সেলিম মল্লিক লিখছেন ‘স্মৃতির গন্ধ?— বড়ো অপরূপ বেদনাময়! অবুঝ অভিমানী! পাতা নড়লেই শেষ রোদ্দুরের মতো লুকিয়ে পড়ে ছায়াতে আর মায়ার অন্তরালে।’ কৈলাসবাসিনী দেবীর ‘ডায়েরী’ পুনর্মুদ্রিত হয়েছে এখানে। রয়েছে মণীন্দ্র গুপ্তের অনবদ্য গদ্য: ‘ঠাণ্ডা গাঢ় ছায়ার মধ্যে শরৎকালের মেঘ যেন আল্পনা এঁকে দূরে ভেসে যাচ্ছে। আমার ঘুম-ঘুম লাগছে। কবরের বাইরে একটির পর একটি চান্দ্রমাস এল আর চলে গেল।’


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.