|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা |
কঠিন ফাঁস |
শিকেয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র |
কৌশিক ঘোষ |
প্রশাসনিক জটিলতায় দ্বিতীয় দফার কাজের দরপত্র ডাকা হয়নি। তাই আটকে রয়েছে কুমোরটুলি অঞ্চলের বনমালী সরকার স্ট্রিটের স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির কাজ। কবে এই কাজ শেষ হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। যদিও পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও সরকারি নিয়মের জটিলতায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় সেই ব্যাপারে
নির্দেশ দিয়েছি।” |
|
শোভাবাজার অঞ্চলে বহু দিন ধরেই একটি উন্নতমানের স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির দাবি ছিল। কিন্তু জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের মিতালী সাহা বনমালী সরকার স্ট্রিটে প্রায় এক কাঠা জমি চিহ্নিত করেন। স্থানীয় বিধায়ক এবং পুরকর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন। জমিটিতে আগে জলের পাম্প ছিল। পরে সেই পাম্পটি অকেজো হয়ে যায়। মিতালীদেবী বলেন, “৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খুব প্রয়োজন ছিল। আমি অতীনবাবুকে জানাই। পরে এই জায়গাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট হয়।”
পরিকল্পনা ছিল, ওখানে দোতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা হবে। সেখানে পুরসভার যাবতীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। এতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া আশপাশের ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও সুবিধা পাবেন। পুর স্বাস্থ্য দফতরে এই প্রকল্প গৃহীত হলে স্থানীয় বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) শশী পাঁজা তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। পুরসভা ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। |
 |
বিধায়ক তহবিলের প্রথম পাঁচ লক্ষ টাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক তলা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার পরেই কাজ আটকে যায়।
কেন?
বিধায়ক তহবিলের বাকি পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করার জন্য আবার নতুন করে দরপত্র ডাকতে হবে। পুরসভার ৬ লক্ষ টাকার জন্য এখনও দরপত্র ডাকা হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়িত করে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর। পুরসভা সূত্রের খবর, যে কোনও প্রকল্পের পরিকল্পনা করতেই সময় লাগে। ফলে এখনও দরপত্র ডাকা সম্ভব হয়নি। অতীনবাবু বলেন, “পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য আমাদের কোনও বিভাগ নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের উপরেই নির্ভর করতে হয়। এই প্রশাসনিক জটিলতার জন্যই দেরি হচ্ছে। আমরা নিজেরাই যদি পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে পারতাম তবে ভাল হত। এ ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছি।”
|
ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী |
|
|
 |
|
|