বসন্ত উৎসবের স্থান বদল
উৎসবে নানা পরিবর্তন আনল বিশ্বভারতী
পৌষ ও বসন্ত উৎসবে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনতে চলেছে বিশ্বভারতী। গত সোমবার কর্মী পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে।
শান্তিনিকেতনে লিপিকা অডিটোরিয়ামে হয়ে যাওয়া ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। তাঁর সভাপতিত্বে কর্মীসভা, অধ্যাপক সভা, আধিকারিকদের সংগঠন এবং সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক করে কর্মী পরিষদ। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী পৌষ মেলা থেকে পুরনো মেলার মাঠের পরিবর্তে বইয়ের স্টল থাকবে পূর্বপল্লি মাঠের মূল মেলা প্রাঙ্গণেই। অন্য দিকে, আশ্রম মাঠ থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বসন্ত উৎসবের আয়োজনও। ঠিক হয়েছে, দিনের অনুষ্ঠান হবে পূর্বপল্লি মেলার মাঠে এবং রাতের অনুষ্ঠান গৌরপ্রাঙ্গণে।
কর্মী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক তথা বিশ্বভারতীর উৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সৌগত সামন্ত বলেন, “পৌষ ও বসন্ত উৎসব নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোখা-সহ একাধিক কারণেই এই পরিবর্তন।”
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, প্রাক্তন উপাচার্য রজতকান্ত রায়ের সময়ে ২০০৮ সাল থেকে আশ্রম মাঠে অস্থায়ী মঞ্চে বসন্ত উৎসবের আয়োজন শুরু হয়েছিল। কিন্তু ওই অনুষ্ঠান করতে গিয়ে একদিকে যেমন অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছিল, অন্য দিকে আশ্রম মাঠ ও লাগোয়া আম্রকুঞ্জ এলাকা নোংরা হয়ে যাচ্ছিল।
শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা। —ফাইল চিত্র।
তা ছাড়া বসন্ত উৎসবের ঠিক পরের দিনই পাঠভবনের পঠনপাঠন ব্যাহতও হচ্ছিল। একই কারণে ঐতিহ্যবাহী এলাকা লাগোয়া পুরনো মেলার মাঠ থেকেও পৌষ উৎসবের একটি অংশ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আগের মতো গ্রন্থন বিভাগ, ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় সংহতি কেন্দ্র ও বইয়ের স্টলগুলি থাকবে পূর্বপল্লির মূল মেলা প্রাঙ্গণেই। বিশ্বভারতীর কর্মীসভার সভাপতি দেবব্রত সরকার ও অধ্যাপক সভার সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, “পৌষ উৎসবে স্টল বিলি, বসন্ত উৎসবে মাঠ পরিবর্তন-সহ নানা বিষয়ে উপাচার্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সভায় ধ্বনি ভোটে প্রস্তাবগুলি মেনে নেওয়া হয়।”
এ বারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে পৌষ মেলার স্টল বিলির বিষয়টি। এর আগে বহুবারই স্টল বিলি ঘিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী স্টল কিনে বেশি দামে বিক্রি করার মতোও অভিযোগ আছে। তাই স্টল বিলির বিষয়টিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এ বার বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখে করবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য দিকে, এ বারের পৌষ মেলাকে ঘিরে উৎসব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.