আচার্য ও সরকারের প্রতিনিধি’র উপস্থিতির ছাড়াই বাংলা বিভাগে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং অডিট অফিসার নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির এক সদস্য দুলাল ঘোষ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে ওই অভিযোগ জানান। দুলালবাবু বলেন, “কর্মসমিতির সদস্যদের অন্ধকারে রেখে উপাচার্য নিজের মর্জিমাফিক কাজ করছেন। আচার্য ও সরকারি প্রতিনিধির উপস্থিতি ছাড়া ওইভাবে কাউকে নিয়োগ করা যায়নি। এটা ইউজিসি’র নিয়ম। উপাচার্য কিছুই শুনতে চাইছেন না। সবকিছু শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি।” দুলালবাবুর আরও অভিযোগ, “উপাচার্য নিজের এর প্রাক্তন ছাত্রকে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে ঢুকিয়েছেন। অডিট অফিসারও একইভাবে নিয়োগ করেছেন। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসতির কোনও প্রয়োজন নেই।” শিক্ষামন্ত্রী সমস্ত কিছউ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে দুলালবাবু জানিয়েছেন। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বেআইনি নিয়োগ করা হয়নি। যাঁরা নানা কথা বলছেন, তাঁদের অভিযোগের কোনও উত্তর আমি দিতে চাই না।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে একজন অ্যসোসিয়েট প্রফেসর ও একজন অডিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল অ্যসোসিয়েটেড প্রফেসর পদটি সাধারণ এক্সজেমটেড ক্যাটাগরির জন্য সংরক্ষিত। কোনও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সময় যাঁরা বা কোনও পরিবার সাহায্য করলে তাঁদের ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। যিনি চাকরি পেয়েছেন তাঁর ওই ধরনের কোনও সার্টিফিকেট নেই বলে অভিযোগ। ইউজিসির নিয়ম অনুসারে সিলেকশন কমিটিতে আচার্যের প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক। তাও ছিল না বলে অভিযোগ। এ ছাড়া সিলেকশন কমিটিতে ৪ সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে তিন জন সদস্য সিলেকশন কমিটিতে ছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। অডিট অফিসার নিয়োগের সিলেকশন কমিটিতে সরকারি প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও কোনও সরকারি প্রতিনিধি ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগপত্র পেয়ে বাংলা বিভাগে অ্যসোসিয়েট প্রফেসর হিসাবে আদিত্য লালা ১২ সেপ্টেম্বর এবং অডিট অফিসার হিসাবে বিনয় হালদার ১৮ সেপ্টেম্বর কাজে কাজে যোগ দেন। আদিত্যবাবু বলেন, “আমি উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাসের ছাত্র কোনও দিন ছিলাম না। কেন এ সব বলা হচ্ছে জানি না।” আর সদ্যনিযুক্ত অডিট অফিসার বিনয় হালদার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগপত্র দিয়েছে তাই ১৮ সেপ্টেম্বর কাজে যোগ দিয়েছি। এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।” |