টুকরো খবর
নাবালিকার বিয়ে রুখলেন গ্রামবাসীরা
গ্রামবাসীদের সচেতনতা ও তৎপরতায় বিয়ে হওয়ার থেকে বাঁচল এক নাবালিকা। বুধবার সন্ধ্যায় সিউড়ির হারাইপুর গ্রামের ঘটনা। গ্রামবাসীদের দাবি, টাকার লোভে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিল ওই পরিবার। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে পাত্রকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ বছর বয়সী ওই নাবালিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের দেরাদুনের বাসিন্দা রাজকুমার বেজ নামে এক যুবকের। ওই বিয়ের জন্য রাজকুমার মেয়ের পরিবারকে দু’দফায় মোট ৬ হাজার টাকাও দেয় বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় বিয়ের প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ তখনই ঘটনার প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে রাজকুমারকে। পাত্রীর বাবা অবশ্য বলেন, “বিয়েতে আমার মত ছিল না। স্ত্রীর চাপেই রাজি হতে বাধ্য হয়েছিলাম। গ্রামবাসীরা আপত্তি করায় মেয়েটা বেঁচে গেল।” নাবালিকার মা অবশ্য তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন। এ দিকে এলাকার এক তৃণমূল নেতা মানিক শেখ বলেন, “খুব সম্ভবত ওই নাবালিকাকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্যই ওই যুবক তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।” অন্য দিকে, সিউড়ি থানার আইসি সুমোহন রায়চৌধুরী বলেন, “এক নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।” ধৃতের প্রকৃত ঠিকানা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃত রাজকুমারকে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। আপাতত ওই নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে সিউড়ির একটি হোমে। বিয়ে বন্ধ হওয়ায় খুশি সেও।

ডাল ভেঙে জখম ৫ শিশু
খেলার মাঝে গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় বোলপুরে ৫ জন শিশু জখম হল। বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মকরমপুর এলাকার ওই ঘটনায় গুরুতর জখম এক শিশুকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সাড়ে তিন থেক ছয় বছর বয়সী ওই শিশুরা রাস্তার ধারে খেলা করছিল। রাস্তার পাশে থাকা পাকুড় গাছ থেকে হঠাৎই একটি ডাল ভেঙে পড়ে। শিশুগুলি তাতেই চাপা পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। জখম শিশুদের মধ্যে জুলি মাসহরকে ভর্তি করানো হয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

ঘেরাও শিক্ষক
স্কুলের নানা খাতে খরচ হওয়া টাকার হিসেব না দেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের কাষ্ঠগড়া হাইস্কুলের ঘটনা। পরে আলোচনার আশ্বাস পেলে গ্রামবাসীরা ঘেরাও তুলে নেন। পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় প্রধান শিক্ষককে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য আব্দুল আলিমের অভিযোগ, “প্রধান শিক্ষক হিসেব দেওয়ার সভায় অনুপস্থিত থেকেছেন। বারবার বলা হলেও স্কুল উন্নয়নের কাজের কোনও খরচেরই হিসেব দেখাতে পারেননি।” প্রধান শিক্ষক নিত্যগোপাল মণ্ডলের অবশ্য দাবি, “যে হিসেব দিয়েছি তাতে পরিচালন সমিতি সন্তুষ্ট না হলে আমার কী করার আছে!” এ দিকে কাষ্ঠগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের তপনকুমার মণ্ডল বলেন, “প্রশাসনকে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আলোচনায় বসা হবে।”

সেতুর দাবি
লোহার কড়াই। কিংবা নৌকা। পারাপারে ভরসা শুধু এটুকুই। লাভপুরের রামঘাটি ও বনরামপুর গ্রামের মাঝে বয়ে যাওয়া কুঁয়ে নদীর উপর নেই কোনও সেতু। তাই জীবন ও জীবিকার টানে এ ভাবেই চলে পারাপার। তা সেই স্কুল পড়ুয়াই হোক আর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি সেতু তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন করেও লাভ হয়নি। সংশ্লিষ্ট লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নদেরচাঁদ বাগদি-র অবশ্য দাবি, “ওই সেতু নির্মাণ করা পঞ্চায়েত সমিতির আর্থিক সাধ্যের বাইরে। তাই জেলা স্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”

দোকানে আগুন
আগুন লেগে ভস্মীভূত হল মুরারইয়ের পাইকর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি দোকান। বুধবার গভীর রাতে মুরারই-রঘুনাথগঞ্জ রাস্তার ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ওই দোকানটিতে আগুন লাগিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও করা হয়। বাসিন্দাদের দাবি, কাছেই পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় দুষ্কৃতীরা অবাধে অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বাবর আলি (১১) নামে ওই কিশোর। বাড়ি নলহাটির মধুরা গ্রামে। বুধবার বিকেলে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.