নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
ঝোপ থেকে একটি কার্বাইন, ফাঁকা ম্যাগাজিন ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হল লাউদোহার জগন্নাথপুর গ্রামে। এই কার্বাইন দিয়েই কয়লা মাফিয়া শেখ সেলিমকে খুন করা হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। বুধবার রাতে মন্দিরের পিছন থেকে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
২৫ অক্টোবর বিকেলে ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার মাধাইগঞ্জে নিজের পেট্রোল পাম্পে গাড়ি রেখে বাড়ির দিকে হাঁটার সময়ে শেখ সেলিমকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সেলিম। দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে জানানো হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রথমে দু’দফায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় দুর্জয় বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে। |
পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, শেখ জনিউল নামে এক যুবক সেলিমকে লক্ষ করে নাইন এমএম পিস্তল থেকে গুলি ছুড়েছিল। যদিও সে পিস্তল কাজ করেনি। খোল-সহ গুলি মাটিতে পড়ে যায়। পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে। শেখ ভোম্বল নামে অপর এক জন কার্বাইন থেকে গুলি ছোড়ে। তার বেশ কয়েকটি লাগে সেলিমের শরীরে। তাকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। জনিউল জেরার মুখে দুর্জয়ের নাম বলে দেয়। পুলিশের দাবি, জেরায় জনিউল আরও জানায়, নাইন এমএম পিস্তল কেনার জন্য দুর্জয় ১১ হাজার টাকা দিয়েছিল।
আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, এই ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হলেও চার জন এখনও অধরা। যে কার্বাইন থেকে সেলিমকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ, সেটির এত দিন খোঁজ মেলেনি। এডিসিপি-র দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, ‘কাজ’ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে শেখ ভোম্বল কার্বাইন ও গুলি শেখ সাকিবুল ও শেখ জনিউলের হাতে দিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায়। বুধবার রাতে জেরায় জনিউল কার্বাইনটি কোথায় আছে জানিয়ে দেয়। এডিসিপি-র কথায়, “পুলিশ জগন্নাথপুর গ্রামের একটি দুর্গা মন্দিরের পিছনের ঝোপ থেকে কার্বাইনটি উদ্ধার করেছে। সঙ্গে দু’টি ফাঁকা ম্যাগাজিন এবং একটি পলিথিনে ৩৬ রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে।” |