সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সেতুর কাজ। কাজ যাতে শীঘ্র শুরু হয় সে জন্য এলাকাবাসীর তরফে বার বার প্রশাসনের বিভাগীয় দফতরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু নীট ফল শূন্য। কাজ এগোয়নি একটুকুও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার মথুরাপুর-২ ব্লকের পূর্বজটা ও জয়নগর-২ ব্লকের চুপড়িঝাড়া এলাকার মধ্যে সংযোগকারী মণিনদীর উপর সেতুর নির্মাণ কাজ বর্তমানে এমনই অবস্থায় দাঁড়িয়ে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে সুন্দরবন উন্নয়ন পষর্দের টাকায় মণি নদীর উপর ৩৩০ মিটার লম্বা সেতুটির কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১১ সালের মধ্যে। সেই মতো কাজ শুরুর সময় ৮ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়। পরে তা বেড়ে ১১ কোটি টাকা হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার বছরখানেক পর থেকে কাজে ঢিলেমি শুরু হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু চলতি বছরের মে মাস থেকে নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সেতুটি নির্মাণ হলে জয়নগর, কুলতলি ও মথুরাপুর-২ এই তিনটি ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ সুবিধা পাবেন। ওই সেতু চালু হলে জয়নগর-২ ও কুলতলি থেকে সরাসরি রায়দিঘি অথবা ডায়মন্ড হারবার পৌঁছতে সুবিধা হবে। এ ছাড়াও ওই দুই ব্লকের বাসিন্দারা সরাসরি মথুরাপুর স্টেশন থেকে কলকাতায় যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু নির্মাণকাজের দীর্ঘসূত্রীতায় তা এখন বিশবাঁও জলে। |
মথুরাপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উদয় মন্ডলের অভিযোগ নির্মাণ সংস্থার ঢিলেমির জন্যই কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। সেতু নির্মাণের জন্য যে পরিমাণ জমির দরকার ছিল তা জোগাড় হয়ে গিয়েছে। অথচ প্রায় চার বছর হতে চলল কাজে কোনও গতি নেই। নির্মাণকারী সংস্থার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, তারা তাঁদের বরাদ্দের টাকা ঠিকমত পাচ্ছেন না। এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। বকেয়া পাওয়ার পর কাজ করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা বলেন, “ওই সেতু নির্মাণের বিষয়ে জেলার আধিকারিকদের নিয়ে গত ১৭ই অক্টোবর সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, যত দ্রুত সম্ভব সেতুর কাজ শেষ করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।” তবে নির্মাণকারী সংস্থা বরাদ্দ অর্থ ঠিকমতো না পাওয়ার যে কথা জানিয়েছে সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক। এই অবস্থায় সেতুর কাজ কবে শেষ হয়, তারই অপেক্ষায় দিন গুনছেন এলাকাবাসী। |