এভারেস্ট ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়েই তাঁরা বিমানে যাত্রা শুরু করেছিলেন নেপাল থেকে। গন্তব্য ছিল বেস ক্যাম্পের নিকটবর্তী শহর লুকলা। কিন্তু উড়ানের পর পরই বিমানটি ভেঙে পড়ল। তাতে প্রাণ হারালেন মোট ১৯ জন।
শুক্রবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল সওয়া ছ’টার সময় ১৯ জন আরোহীকে নিয়ে লুলকার উদ্দেশে রওনা দেয় সীতা বিমান সংস্থার ওই ডরনিয়ার বিমানটি। মাটি ছেড়ে আকাশে পাড়ি দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিমানটির সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ অবশ্য মনে করছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিমানটি থামাতে চেয়েছিলেন পাইলট। তবে শেষরক্ষা হয়নি। তার আগেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। |
ভোটযুদ্ধে সেজে উঠেছে কলকাতার মার্কিন তথ্য কেন্দ্রও। —নিজস্ব চিত্র |
চার বছর আগে এসেছিল দিনটা। আবার এল। তবে এ বার ছবিটা অন্য রকম। গত বার লড়াইটা ছিল প্রেসিডেন্ট পদের জন্য। এ বার সেই পদেই টিকে থাকার লড়াই। হয়তো সে কারণেই নির্বাচনের দিন বাস্কেটবল নিয়ে মেতে থাকলেন বারাক ওবামা। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মিট রোমনি কিন্তু নির্বাচনের দিনও ব্যস্ত রইলেন শেষ মুহূর্তের প্রচারে।
২০০৮ সালের নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবারটিতে এ রকমই ব্যস্ত ছিলেন ওবামাও। চার বছরে পরিস্থিতি বদলেছে। সেই অনুযায়ী চাপ কাটানোর কৌশলও বদলেছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচার শেষ করেছেন সোমবারই। মঙ্গলবার অর্থাৎ নির্বাচনের দিন সুইং স্টেটগুলোতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ফাঁকে বন্ধুদের সঙ্গে বাস্কেটবল খেলেছেন। সারা দিন সাক্ষাৎকার এবং খেলার পরে শিকাগোয় হাইড পার্কের বাড়িতে বসে সপরিবার ডিনার। আর সবশেষে শিকাগোয় সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা। নির্বাচনী প্রচারের একদম শেষ অধ্যায়ে এসে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ই তাঁর চোখে এল জল, আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেন ওবামা।
মঙ্গলবারও চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেই কাটালেন রোমনি। কাল শেষ দফার নির্বাচনী প্রচারে ‘সুইং স্টেট’ ওহায়োতে যান তিনি। এ দিনও বেলমন্টে নিজের ভোটদানের পরে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন ওহায়োতেই। ক্লিভল্যান্ড এবং পেনসিলভানিয়ায় প্রচার শেষ করে বস্টনে ফিরবেন রোমনি। বস্টনেই সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা তাঁর। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আমেরিকার বিভিন্ন দেশে সকাল ৬টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলবে। যদিও স্যান্ডির জেরে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি বিভিন্ন জায়গায় পোলিং স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত। জনগণের সুবিধার জন্য নতুন নির্দেশাবলি (অর্ডার) বের করেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্ণর অ্যান্ড্রিউ কুয়োমো। এর ফলে যে কোনও জায়গা থেকেই ভোট দিতে পারবেন নথিভুক্ত বৈধ ভোটাররা। সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে যাতে বঞ্চিত না হন দেশবাসী, সে দিকে নজর রেখে এই বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে নিউ ইয়র্কে। নিউ জার্সির বাসিন্দারা যাতে বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারেন, তাই ই-মেল বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। |
হিসেব মতো ফলাফলের ছবিটা পরিষ্কার হতে হতে বুধবার। নিজের প্রার্থীদের জয় নিয়ে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন সমর্থকরা। যদিও সমীক্ষা থেকে ইতিমধ্যেই পরিষ্কার, সামান্য হলেও এগিয়ে ওবামা। অন্য দিকে ওয়াল স্ট্রিটের সমর্থন গিয়েছে রোমনির দিকে।
প্রচার-অপপ্রচার, তরজা-পাল্টা তরজার রাজনীতির শেষে হোয়াইট হাউসের দরজা কার জন্য খোলে সেটা দেখতেই উদ্গ্রীব আমেরিকাবাসী। |