টুকরো খবর
সরকারি অনুমোদন নেই, বিপাকে পড়ুয়া
সরকারি অনুমোদন না থাকার কারণে বালুরঘাটের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক সমতুল পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিপাকে। অনুমোদন না থাকায় ওই স্কুলে ‘হোম সেন্টার’ খোলার অনুমতি মেলেনি। ফলে সিবিএসসির অধীন স্কুলের ২৩ জন পরীক্ষার্থীকে চুঁচুড়ার অন্য সেন্টার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে। আগামী ৩ মার্চ পরীক্ষা শুরু হবে। ওই ঘটনায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন তাঁরা। যদিও টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুল নামে ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অধ্যক্ষ শৈলেশ্বরপ্রসাদ সিংহ বলেন, “ভুবনেশ্বরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দফতর থেকে এক প্রতিনিধি দল এসে স্কুলের পরিকাঠামো দেখে গিয়েছেন। রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে তাঁরা আশ্বাসও দেন। আশা ছিল পরীক্ষার আগে অনুমোদন মিলে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। তাই আমরা চুঁচুড়ায় ছাত্রছাত্রীদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছি।” অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের ওই সাফাই মেনে নিচ্ছেন না। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্র ভর্তির সময় গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ছাত্রছাত্রীরা হোম সেন্টার বালুরঘাটের স্কুল থেকে পরীক্ষা দিতে পারবে। পরীক্ষা শুরুর আগে সরকারি অনুমোদন মিলে যাবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে জানানো হয় পরীক্ষা দিতে হবে চুঁচুড়ার কেন্দ্র থেকে। অভিভাবকরা জানান, শুধু ছাত্রছাত্রীদেরই সমস্যা হবে না, ২২ দিন পরীক্ষা চলাকালীন সময় অভিভাবকেরা কোথায় থাকবেন তা নিয়ে তাঁরা সমস্যা হবে। অধ্যক্ষ বলেন, “২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দু’চার জন হোম সেন্টার পরিবর্তন নিয়ে আপত্তি জানায়।” উজ্জ্বল সাহা নামে এক অভিভাবক বলেন, “ভর্তির সময় স্কুলের অধ্যক্ষ আশ্বাস দিয়েছিলেন অনুমোদন না এলেও পড়ুয়ারা যেন হোম সেন্টারে বসে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু ওই ব্যবস্থা হল না কেন সেটাই তো স্পষ্ট নয়।”

জমি বিবাদে কোপ ভাইকে
জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে চোখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিন ভাই-সহ তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। মালদহের রতুয়ার ভাদো এলাকার করুয়া গ্রামে রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম ভাই আজহার শেখকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর ৩ ভাই সহ অভিযুক্তরা পালিয়েছে। এলাকায় হানা দেওয়ার পর অভিযুক্তদের না পেয়ে ৫টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশর বিরুদ্ধে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “পুলিশ কারও বাড়ি ভাঙতে যাবে কেন! অভিযুক্তদের নিজেরা বাড়ির টালি ভেঙে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। অভিযুক্তদের ধরা হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বিবাদের জেরে দুই মাস আগে আজহার তাঁর এক ভাইপোকে মারধোর করে বলে অভিযোগ। এর পরে আজহারকে মারধর করে হাত-পা ভাঙা ছাড়াও তাঁর স্ত্রীকে তাঁর ভাইয়েরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় আজাহারকে তার ৩ ভাই মঞ্জুর, জিয়াউল ও ইসলাম শেখ যন্ত্রচালিত ভ্যানে চাপিয়ে গ্রামের বাইরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাদের সঙ্গে ছিল আরও ৭ জন। সেখানে তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে চোখে অ্যাসিড ঢেলে অভিযুক্তরা পালায় বলে অভিযোগ।

স্থায়ী চাকরির দাবি জমিদাতা পরিবারের
জমিদাতা পরিবারের সদস্যের চাকরি স্থায়ী করতে হবে, এই দাবিতে মালদহের হবিবপুরের কেন্দপুকুর হাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে নতুন ক্লাসঘর তৈরিতে আদিবাসীদের সংগঠন বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাঁকে স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন, তাঁর নাম ধনঞ্জয় মুর্মু। তিনি ওই স্কুলের অস্থায়ী কর্মী। তাঁর মায়ের দেওয়া জমিতেই স্কুলটি হয়। হবিবপুরের আদিবাসী নাগরিক কমিটির সভাপতি সালকু বাসকের দাবি, “স্কুলের জমির দাতার ছেলে ধনঞ্জয়কে চাকরিতে স্থায়ী করতে হবে। না হলে স্কুলের ফাঁকা জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। যে কোনও একটা দাবি না মানলে কাজ করতে দেওয়া হবে না।” কেন্দপুকুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব সরকার জানান, স্থএক আদিবাসী মহিলা দুলহন মুর্মু ১৯৬৭ সালে স্কুল তৈরির জন্য ২ একর জমি দান করেন। সেই জমির অর্ধেক জায়গায় স্কুল তৈরি হয়। বাকি জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বর্তমানে স্কুলে ২৪৭০ জন ছাত্রছাত্রী। তাতে ক্লাসে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত ক্লাসঘরের জন্য সর্বশিক্ষা মিশন টাকা দিয়েছে। সেই টাকা হাতে পাওয়ার পর ক্লাসঘরের জন্য সিমেন্ট, বালি, পাথর, লোহা কেনা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘ঘটনার কথা সকলকে জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়!” জমিদাতার ছেলে ধনঞ্জয় মুর্মুও জানান, তাঁকে স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমাকে স্থায়ী না-করলে ক্লাসঘরের কাজ করা সম্ভব হবে না।” সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক চিন্ময় সরকার ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সঠিক ভাবে খাতা না দেখে এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রকে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই অভিযোগ তোলেন ইসলামপুর কলেজের ছাত্র রাজীব রঞ্জন গুহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তোলেন। রাজীব জানান, তিনি এই বছর ইসলামপুর কলেজ থেকে সাধারণ বিভাগে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দেন। গত ২৯ জুন ফলাফল ঘোষণার পর ভূগোল ‘প্র্যাকটিক্যাল’-বিষয়ে তিনি ফেল করেন বলে জানতে পারেন। পাশের জন্য ওই বিষয়ে ৫০ নম্বরের মধ্যে ২০ নম্বর প্রয়োজন হয়। সেখানে রাজীব ১৬ নম্বর পেয়েছেন।তাঁর দাবি, ১০ নম্বরের একটি প্রশ্নের উত্তর ঠিক থাকা সত্বেও কোনও নম্বর দেওয়া হয়নি। ৫ নম্বরের দুটি প্রশ্নের উত্তর সঠিক থাকা সত্বেও তাঁকে ২ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “২৪ অক্টোবর তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে আমার খাতা সংশোধন করা হয়েছে কি না জানতে চাই। কিন্তু ৩০ পার হওয়ার পরেও কিছু জানানো হয়নি।” তাঁর আইনজীবী মোস্তাক আলম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা না নিলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।” উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীর কুমার দাস বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। এই ধরনের অভিযোগ বিভিন্ন কলেজ থেকে মাঝে মধ্যে আসে। তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেখে। কেউ সংবাদমাধ্যমের কাছে গিয়েছে এরকমটা হয় না। এক্ষেত্রে ওই ছাত্রের কী সমস্যা হয়েছে তা দেখব।” উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদল্যায়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সুশান্ত দাস বলেন, “এক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নেব।”

হলদিবাড়িতে কেন্দ্রীয় দল
বাংলাদেশের অনুরোধে হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যাবস্থা পুনরায় চালু করা যায় কি না খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে শিলিগুড়ির কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের ডেপুটি কমিশনার মণীন্দ্র লামার নেতৃত্বে একটি দল হলদিবাড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ওই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুল্ক দফতরের আধিকারিক মণীন্দ্র লামা বলেন, “বাংলাদেশের অনুরোধে হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত এবং বাণিজ্য পুনরায় চালু করার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার আগ্রহী। ওরা বিশদে সীমান্তের পরিকাঠামো জানতে চেয়েছিলেন। সমস্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে একমাত্র জিরো পয়েন্ট ছাড়া হলদিবাড়ির বাকি পরিকাঠামো সন্তোষজনক। হলদিবাড়ি দিয়ে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত রেলের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু ছিল। মালগাড়িতে করে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি রফতানি হত। শুল্ক আধিকারিকের মতে, সেই বাড়িগুলি সংস্কার করে নিলেই কাজ চলবে।

আবগারি অভিযান
কালীপুজোর আগে বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল মালাদহ জেলা আবগারি দফতর। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে সোমবার ভোরে রথবাড়ি এলাকায় আবগারি দফতর হানা দিয়ে মিনি ট্রাকভর্তি ১৪০০ লিটার বেআইনি স্পিরিট উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি ওই গাড়ির দুই চালক সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ডালখোলা থেকে ওই বেআইনি স্পিরিট ভর্তি মিনিট্রাক বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল। জেলা আবগারি দফতরের সুপারিনটেনডেন্ট সৌমিত্র বিশ্বাস বলেন, “১৪০০ লিটার স্পিরিট উদ্ধার করা হয়েছে।”

ফের ফ্যাক্স মমতাকে
টিএমসিপি’র জেলা পর্যবেক্ষক প্রিয়ব্রত দুবের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধিতার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠালেন জেলা সভাপতি অজয় সরকার ও কার্যনির্বাহী সভাপতি ইন্দ্রনীল আচার্য। রবিবার বিধায়ক অমল আচার্যের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে ফ্যাক্স পাঠান প্রিয়ব্রতবাবু।

বাঁচল গুদাম
বড়সড় আগুন থেকে থেকে রক্ষা পেল কোচবিহারের চকচকা শিল্প কেন্দ্র। সোমবার একটি তুলোর গুদামে আগুন লাগে। দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় এক বালিকার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর থানার ধনতলা এলাকাতে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম রেশমি খাতুন (১১)। তার বাড়ি বিহারের বিহারের সমস্তিপুর এলাকায়। সে ধনতলা এলাকায় দিদির বিয়েতে এসেছিল। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়ানোর সময় ছোট গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। ঘটনার পর বাসিন্দারা আধঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। গাড়িটি আটক করে চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.