অটোকে শৃঙ্খলায় বাঁধতে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। ঠিক হয়েছিল, ওই কমিটি সমীক্ষা করে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার অটো-ভাড়া কী হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেবে। গত জুন মাসে ওই কমিটি রিপোর্ট দিলেও তা এখনও দিনের আলো দেখেনি। এর মধ্যেই সোমবার অটো ইউনিয়নগুলিকে সমীক্ষা করে ফের ভাড়ার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলেন পরিবহণমন্ত্রী।
আগের সমীক্ষার রিপোর্ট কেন প্রকাশ করা হল না, সে সম্পর্কে অবশ্য এ দিন কোনও মন্তব্য করেননি মদনবাবু। তবে তিনি বলেন, “ভাড়া নিয়ে অসামঞ্জস্য রয়েছে। আমি ইউনিয়নের নেতাদের সমীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়ার তালিকা তৈরি করতে বলেছি।” এতে অটোকে শৃঙ্খলায় বাঁধার কাজেই দেরি হবে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।
সোমবার মহাকরণে উত্তর কলকাতা এবং লাগোয়া শহরতলির বিভিন্ন অটো ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে পরিবহণমন্ত্রী জানান, যে সব অটোর কাছে পরিবহণ দফতরের কোনও না কোনও নথি রয়েছে, সেগুলিকে পারমিট দেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তবে এই প্রক্রিয়ায় বেআইনি অটোর বৈধতা পাওয়ার আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমরা তো সবাইকে ঢালাও পারমিট দিচ্ছি না। শুধু যাঁদের কাছে সরকারের অফার লেটার বা ন্যূনতম কিছু নথি রয়েছে, তাঁদেরই এই পারমিট দেওয়া হবে।” মদনবাবু জানিয়েছেন, কলকাতা এবং লাগোয়া শহরতলি এলাকায় এ ধরনের প্রায় ৭ হাজার অটো রয়েছে। সেগুলিকে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট আরটিও-তে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
তবে এই অটোগুলিকে পারমিট দিলে সংশ্লিষ্ট রুটগুলিতে অটোর চাপ আরও বাড়বে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু। সংগঠনের নেতারা বলেন, “কলকাতার সব রুটে সর্বোচ্চ অটোর সংখ্যা কত থাকবে, তা নির্দিষ্ট করা আছে। সেখানে সংখ্যা বাড়লে সমস্যা তৈরি হবে। যদিও মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ওই সংখ্যা বাড়বে না।”
এ দিনই ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে পরিবহণমন্ত্রীর কাছে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন মিনিবাস কো-অপারেটিভ কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতারা। সংগঠনের নেতা অবশেষ দাঁর দাবি, “বেসরকারি এবং সরকারি বাসে অনেক ক্ষেত্রে ৪ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বেড়েছে। অথচ, মিনিবাসে ১ টাকা বেড়েছে এবং কোথাও কোথাও ভাড়া বাড়েইনি।” মিনিবাস মালিকদের বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়ে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “আপাতত ওঁদের নতুন ভাড়া নিতে বলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি অবশ্যই ভেবে দেখব।” |
