টুকরো খবর
মাওবাদী দমনে ‘সেরা’৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান
চলছে মহড়া। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
মাওবাদী দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য মেলায় সেরার শিরোপা মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের। এই ব্যাটেলিয়ানটি রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে। ১ নভেম্বর দিল্লি থেকে এই পুরস্কার নিয়ে এসেছেন ব্যাটেলিয়ানের কমান্ড্যান্ট শঙ্করলাল সেনগুপ্ত। কিন্তু পুরস্কার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই জওয়ানেরা। নিজেদের সক্রিয়তা ধরে রাখতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলে জঙ্গলে। রবিবার লালগড় থানা এলাকার ঝিটকার জঙ্গলে মাওবাদী বনাম কেন্দ্রীয় বাহিনীর নকল লড়াইয়ের মহড়াও হল। ঠিক যেমন ভাবে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই হয়, সেই ভাবেই এ দিন মহড়া দেওয়া হল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী ও ব্যাটেলিয়ানের কমান্ড্যান্ট শঙ্করলাল সেনগুপ্ত বলেন, “প্রতিটি মুহূর্তে তৈরি থাকতেই এই ধরনের মহড়ার আয়োজন।” পুরস্কার পাওয়া উপলক্ষে ৯ তারিখ লালগড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শিবিরে একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকেরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝিটকার জঙ্গলটি খুবই গভীর। সেই জঙ্গলেই নকল মহড়া হয়। এক পক্ষ জওয়ানের ভূমিকা পালন করে, অন্য পক্ষ মাওবাদীদের। মাওবাদীদের মতোই জঙ্গলে বৈঠক করছিল তারা, খবর পেয়ে তল্লাশিতে যায় জওয়ানেরা। জওয়ান দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। অবশেষে, জওয়ানদের কাছে পরাজিত হয়। ৪ জনের মৃত্যু হয়। ২ জনকে জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করা হয়। দেখলে মনে হবে, যেন আসল লড়াই হয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন নাকতলা
ফাইনাল খেলার একটি মুহূর্ত। ছবি: কৌশিক মিশ্র।
বিভূতিভূষণ মাইতি স্মৃতি পিএসএ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল নাকতলা কৃশানু দে কোচিং সেন্টার। সোমবার ফাইনালে মুখোমুখি হয় কলকাতার দুই দল, নাকতলা কৃশানু দে কোচিং সেন্টার ও টালিগঞ্জ একাদশ। ১-০ গোলে জয়ী হয় নাকতলা। গোল করেন শম্ভু ছেত্রী। এ দিকে, পঁচেট কিশোর ক্লাবের পরিচালনায় দু’দিনের জীবনকৃষ্ণ ও জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা হল শনি ও রবিবার। পঁচেটগড় রাসমঞ্চ ময়দানের এই টুনার্মেন্টে দুই মেদিনীপুরের আটটি দল যোগ দেয়। ফাইনালে কিশোর ক্লাব ১-০ গোলে নারায়ণগড় একাদশকে হারায়। গোল করেন সুরজিৎ সেনাপতি। প্রতিযোগিতার সেরা হন বিজয়ী দলের মিঠুন দাস।

মাওবাদী সন্দেহে ধৃত
ধৃত মঙ্গল মুড়া। —নিজস্ব চিত্র।
বেলপাহাড়ি থেকে মাওবাদী নেতা মদন মাহাতোর স্কোয়াডের এক সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত বছর আটচল্লিশের মঙ্গল মুড়া’র বাড়ি বেলপাহাড়ির বিদরি গ্রামে। সোমবার দুপুরে নিজের দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। সংবাদমাধ্যমের সামনে মঙ্গলকে হাজির করে এসপি দাবি করেন, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ‘ফেরার’ ওই মাওবাদীকে এদিন সকালে বিদরির জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে অবশ্য কথা বলেননি মঙ্গল। এসপি জানান, মঙ্গলের বিরুদ্ধে বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন, অপহরণ ও হামলা-নাশকতার ৩০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি মামলায় ইতিমধ্যেই মঙ্গলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। এ দিন অভশ্য মঙ্গলের কাছ থেকে কোনও অস্ত্র পায়নি পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে, সোমবারই ঝাড়গ্রামের বিরিহাঁড়ির জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে মাটিতে পোঁতা থাকা ৬৯টি সকেট বোম ও ১৩৬ টি সকেট বোমের খোল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এসপি। সংবাদমাধ্যমকে বোম ও খোলাগুলি দেখানো হয়। এগুলি কোনও সময় মাওবাদীরাই পুঁতে রেখেছিল বলে পুলিশের অনুমান।

রঙিন উদ্বোধনে শুরু মেদিনীপুর বইমেলা
—নিজস্ব চিত্র।
সোমবার বিকেলে শুরু হল সঙ্গীত, নৃত্য প্রভৃতির মাধ্যমে শুরু হল ‘মেদিনীপুর বইমেলা ও মৈত্রী উৎসব’। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, শ্রীকান্ত মাহাতো, টেকনো ইন্ডিয়া’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী প্রমুখ। আগামী রবিবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বই ভালবাসার জায়গায়। জীবনেরই একটি অঙ্গ। যে বই ভালবাসে না, সে জীবনকেই ভালবাসে না।” এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি করে বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “আজকের দিনে পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের উচিত, আরও বেশি বই পড়া।” মেদিনীপুর এডুকেশন অ্যান্ড সার্ভিস সোসাইটি, দাঁতন স্পোটর্স এন্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ও মেদিনীপুর মৈত্রী ইউনিট- এই তিনটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ‘মেদিনীপুর বইমেলা ও মৈত্রী উৎসবের’ আয়োজন। মেলা উপলক্ষে রোজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন। বেসরকারি উদ্যোগে সদর শহরে বইমেলার আসর বসায় খুশি বইপ্রেমীরা। সোমবার থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ভীড় জমতে শুরু করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে এদিন শোভাযাত্রা বেরোয়।

মিছিল
দাঁতনে ডিওয়াইএফের মিছিল
‘শিল্প বাঁচাও, হলদিয়া বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সোমবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করল সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন। কয়েকটি এলাকায় ফ্রন্টের অন্য শরিক দলের ছাত্র-যুব সংগঠনও কর্মসূচীতে যোগ দেয়। বিকেলে মেদিনীপুর, খড়্গপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল হয়। মেদিনীপুরের মিছিলে নেতৃত্ব দেন ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউ, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা প্রমুখ। মিছিল শেষে শহরের বটতলাচকে পথসভাও হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.