|
|
|
|
বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতির আশঙ্কা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
বৃষ্টির অভাবে নির্দিষ্ট সময়ের বেশ পরেই এ বছর ধান বোনা হয়েছিল। ফলে ধান কাটার সময় হয়ে গেলেও পশ্চিম মেদিনীপুর অনেক জমিতেই এখনও ধান রয়েছে। এ বছর এমনিতেই স্বাভাবিকের তুলনায় ফলন কম হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। আর তার মধ্যেই জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় আমন ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি দফতর। শুধু ধানই নয়, আলুর ফলনেও এমনই আশঙ্কা কৃষি দফতরের। পশ্চিম মেদিনীপুরের উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তপনকুমার ভুঁইয়া বলেন, “বৃষ্টিতে আমন ধানের ক্ষতি হবে। তবে ক্ষতির পরিমাণ কতটা এবং কোন কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা এখনই জানা যায়নি। বিভিন্ন ব্লকের কৃষি আধিকারিকদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।” |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
নীলমের জেরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপে জেলা জুড়েই গত তিন-চার দিন ধরে কখনও হাল্কা আবার কখনও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। জেলার সহ কৃষি-অধিকর্তা (তথ্য) দুলাল দাস অধিকারী বলেন, “এ বার ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে আউস এবং আমন ধান চাষ হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গিয়েছে। তবে বাকি ধান এখন মাঠেই রয়েছে।” কৃষি দফতর সূত্রে খবর, বেশিরভাগ জমিতেই ধানের ফলন এখন শেষের দিকে। কিছু এলাকায় ধান কাটাও হয়ে গিয়েছে। তবে নিয়মানুযায়ী ধান কাটার পর চাষিরা কাটা ধান মাঠে ফেলে রাখেন। বৃষ্টিতে সেই সমস্ত ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কৃষি দফতর জানিয়েছে, জমিতে রাখা কাটা ধানের উপর জল জমে গেলে ধানের রঙ লালচে হয়ে যায়, আবার বেশি জল পেলে ধানের অঙ্কুর হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই চাষিরা সেই ধানের দাম পাননা। আর পেলেও কম। ফলে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় বৃষ্টির অভাবে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা তো ছিলই, এই বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও যোগ হল। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ঘাটাল ও মেদিনীপুর সদর মহকুমার একাধিক ব্লকে ধান কাটা চলছে। অনেক জায়গায় ধান কাটা না হলেও ঝড়ো হাওয়ায় ধানের গোড়া মাঠে পড়ে গিয়েছে। পড়ে যাওয়া ধানগুলিতেও একইরকম ক্ষতি হবে বলে কৃষি দফতর জানিয়েছে।
আলুর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। মেদিনীপুর সদরের গড়বেতা, চন্দ্রকোনা রোড, ঘাটালের দাসপুর প্রভৃতি এলাকায় মরসুমের আগেই আলু লাগিয়েছেন চাষিরা। কিন্তু বৃষ্টির ফলে সদ্য লাগানো আলু পচে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। তবে বৃষ্টির অল্প হলেও উপকারিতা রয়েছে। তপন ভুঁইয়া বলেন, “এখনও বেশিরভাগ এলাকার ধান জমিতে সেচের প্রয়োজন ছিল। বৃষ্টিতে সেই চাহিদা কিছুটা মিটল। এছাড়াও এখন সরকারি ভাবে আলু লাগানোর মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক চাষি আলু লাগানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির ফলে এখন দেরি করা ছাড়া তাঁদের কোনও উপায় নেই।” |
|
|
|
|
|