নিজেদের মাঠে খেলতে চায় না মর্গ্যান-ব্রিগেড
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মর্গ্যানের সঙ্গে আলোচনায় ডুবে পেন। পাশে সহকারী কোচ। সোমবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে। ছবি: উৎপল সরকার |
যুবভারতী ছেড়ে নিজেদের মাঠে কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলতে হবে। আর তাতেই প্রচণ্ড চটেছেন কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান।জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন লাল-হলুদ কোচ বললেন, “যুবভারতীতে নিয়মিত খেলার পর এই মাঠে খেলা সত্যিই সমস্যার। আমাদের মাঠটা টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলার জন্য উপযুক্ত নয়।” ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সঞ্জু প্রধানের গলাতেও মর্গ্যানের রেকর্ড বাজছে। জানালেন, “এই মাঠে নিজেদের খেলাটাই খেলতে পারব না। ছোট মাঠ হওয়ায় সুবিধা পাবে জর্জ।” ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার অবশ্য কোচ-ফুটবলারদের সঙ্গে একমত নন। বললেন “এই মাঠেই ওরা অনুশীলন করে। খেলতেও অসুবিধা হবে কেন? একটা ম্যাচ খেললেই ওরা মানিয়ে নিতে পারবে। কোনও সমস্যা হবে না।” নিজেদের মাঠে মরসুমের প্রথম ম্যাচ দেখার সুযোগ পেয়ে অবশ্য খুশি সদস্য-সমর্থকরা।এরই মধ্যে কলকাতা লিগে খেলানোর জন্য সোমবার সুশান্ত ম্যাথুকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল। কোচ যা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে জর্জ ম্যাচেই রিজার্ভ বেঞ্চে থাকতে পারেন সুশান্ত। জর্জের বিরুদ্ধেও আই লিগের প্রথম একাদশ খেলাবেন না মর্গ্যান। বিদেশীদের ছাড়াই দল নামাবেন সাহেব কোচ। |
মঙ্গলবারে কলকাতা লিগ
ইস্টবেঙ্গল:জর্জ টেলিগ্রাফ (ইস্টবেঙ্গল, দুপুর ২-০০)
|
‘মেসি আমার বন্ধু নয়, তবে পেশাদারের মতোই সম্মান করি’
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সিআর সেভেন এবং এলএম টেন এক দলে? সেই স্বপ্নের দলের কোনও অস্তিত্ব নেই। তবে লিওনেল মেসির সঙ্গে এক দলে খেলতে কোনও অসুবিধা নেই তাঁর। কিন্তু তার জন্য তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারবেন না। এমনটাই জানাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। একটি আমেরিকান টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে সিআর সেভেন বলেন, “মেসির সঙ্গে খেলা? কেন নয়? কোনও সমস্যা নেই। যদি ও রিয়ালে আসে তা হলে একসঙ্গে খেলব। কারণ, আমার পক্ষে বার্সেলোনায় যাওয়া অনেক বেশি কঠিন।” মিডিয়ার দৌলতে রোনাল্ডোকে প্রায় সব ব্যাপারেই মেসির তুলনার সামনে পড়তে হয়। পর্তুগিজ তারকার কথায়, “মেসি অসাধারণ ফুটবলার। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর পাঁচ জন ফুটবলারের সঙ্গে আমার যে রকম পেশাদার সম্পর্ক সে রকমই। কিন্তু ও আমার বন্ধু নয়। কারণ, আমরা এক ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করি না। এক সঙ্গে ডিনারেও যাই না। তবে এক জন পেশাদারের মতোই আমি ওকে সম্মান করি।” মেসির সঙ্গে তুলনার জন্য রোনাল্ডো অবশ্য মিডিয়াকেও এক হাত নিয়েছেন। বলেছেন, “শুধু এখন বলে নয়। ব্যাপারটা চলছে গত পাঁচ বছর ধরে। আমি তো আর এটা বদলে দিতে পারি না। আমি সংবাদপত্রে কাজ করি না। টিভিতেও না।” সেই সঙ্গে যোগ করেন, “আমি আর কী করতে পারি! এ সব নয়ে ভাবলে চলবে না। আমি শুধু জানি, আমাকে প্র্যাক্টিস করতে হবে। খেলতে হবে। গোল করতে হবে। দলকে সাহায্য করতে হবে।”
|
বালাসাহেবের হুমকি, কড়া নিরাপত্তা ম্যাচে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের হুমকি ও জঙ্গি হানার আশঙ্কায় ভারত-পাক এক দিনের ম্যাচ ও টি-২০ সিরিজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। কলকাতায় ইডেনে হবে এক দিনের ম্যাচ। তা ছাড়াও এক দিনের ম্যাচ এবং টি-২০ হওয়ার কথা দিল্লি, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে। ঠাকরের হুমকি ও মুম্বই হামলার কথা মাথায় রেখে মহারাষ্ট্রে কোনও ম্যাচ রাখা হয়নি। ২৬/১১-র পরে ক্রিকেট কূটনীতিতে ফাটল ধরলেও মনমোহন সরকার অতীত আঁকড়ে থাকতে চায় না। সরকারের মতে, দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার হাতিয়ার ক্রিকেট। কিন্তু, বাদ সেধেছেন বালাসাহেব। পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট তাঁর একদম না-পসন্দ। অসুস্থ অবস্থাতেই শিবসেনা প্রধান দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-য় লিখেছেন, “আমি বিছানা বন্দি। তবু আমার রক্ত টগবগ করে ফুটছে। হিন্দু ভাইদের কাছে আমি ম্যাচ পণ্ড করার আবেদন জানাচ্ছি।” এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কলকাতা ও অন্য শহরগুলিতে ত্রিস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখবে। তাতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আর পি এন সিংহ আজ বলেন, “পাক ক্রিকেট দলের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। নির্ধারিত সূচি মেনেই ম্যাচ হবে। যারা এর বিরোধিতা করছেন, তাদের খেলাকে খেলা হিসেবেই দেখা উচিত।” ক্রিকেট সিরিজের সময় ৪-৫ হাজার পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীর জন্য ভিসার বন্দোবস্ত করা হবে। দিল্লির ম্যাচে থাকতে পারেন পাক সরকারের বেশ কয়েক জন প্রতিনিধি। তাঁদের জন্যও থাকবে উপযুক্ত নিরাপত্তা।
|
সর্বভারতীয় স্তরে বর্ধমানের মেয়েরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
প্রথম বার সর্বভারতীয় স্তরে যোগ দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা কবাডি দল। কল্যাণীতে আয়োজিত আন্তঃপূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় কবাডিতে তারা প্রথম ম্যাচে এপিএস রেওয়াকে ৭৩-২০, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৫-১০ ও ফাইনালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪২-১৭ পয়েন্টে হারিয়ে পূর্বাঞ্চল চ্যাম্পিয়ন হয়। বর্ধমানের সঙ্গে জাতীয় পর্বে গিয়েছে মিথিলা, মগধ ও এমজি কাশি বিশ্ববিদ্যালয়। |