স্কুলগাড়ির পারমিট নিয়ে রয়েই গেল জট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও স্কুলগাড়ির পারমিট নিয়ে ধোঁয়াশা মিটল না।
বৃহস্পতিবার মহাকরণে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করেন পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আবীর রায় -সহ এক প্রতিনিধিদল। বৈঠকের পরে আবীরবাবু বলেন, “প্রায় ১ হাজার গাড়ির মালিক পারমিট পেতে সরকারের কাছে টাকা জমা করেছেন। কিন্তু এখন পারমিট দেওয়া বন্ধ। মদনবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি দেখবেন।” কিন্তু মন্ত্রী বলেন, “সরকার পারমিট দেওয়া বন্ধ রাখেনি। ঠিক নথি জমা না দেওয়ায় হয়তো কেউ পারমিট পাননি। তবে ওঁরা আমার কাছে সেই সব আবেদন দেখালে খোঁজ নিয়ে দেখব।” তিনি আরও বলেন, “স্কুলগাড়ি -মালিকদের জানিয়েছি, লাইসেন্স ও পারমিট ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সবাইকে লাইসেন্স -পারমিট নিতে হবে।” আবীরবাবু পরে বলেন, “স্কুলগাড়ির সমস্যা নিয়ে পরিবহণমন্ত্রীকে লিখিত রিপোর্ট দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে আবার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। সে দিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করছি।”
পুলকার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, কলকাতায় মাত্র ৮২টি স্কুলগাড়ির পারমিট রয়েছে। শহরতলিতে এর সংখ্যা ৩০০টি। মদন মিত্র এ দিন বলেন, “অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা লাইসেন্স ছাড়া গাড়িতে বাচ্চাদের পাঠাবেন না।”
এ দিনই পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন লাক্সারি ট্যাক্সির মালিক সংগঠনের এক প্রতিনিধিদল। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈকত পাল বলেন, “আশা করেছিলাম ট্যাক্সি ও বাসের সঙ্গে আমাদের ভাড়াও বাড়ানো হবে। কিন্তু সরকার তা বিবেচনা করেনি।” সৈকতবাবু জানান, ২০ নভেম্বর ছট পুজো পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। এর মধ্যে ভাড়া না বাড়লে ২১ নভেম্বর থেকে লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন লাগাতার ধর্মঘটে যাবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট ৩০ হাজার লাক্সারি ট্যাক্সি চলে। সরকারের বিভিন্ন অফিসের জন্যই মূলত ভাড়া খাটে সেগুলি। বর্তমানে ১০ ঘণ্টায় এর ভাড়ার পরিমাণ ৪৬৫ টাকা। এর পরে ভাড়া খাটলে প্রতি ঘণ্টায় ২০ টাকা করে দেওয়া হয়। অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, প্রথম দশ ঘণ্টার ভাড়া বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা ও পরে প্রতি ঘণ্টায় ২০ টাকার বদলে ৮৫ টাকা করা হোক। লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়শনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি বিবেচনা করে দেখব।” |