টুকরো খবর
ভোটার তালিকা নিয়ে সরব সি পি এম
ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে সরব হল সিপিএম। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু পুজো ও ঈদের ছুটি থাকায় ওই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করে বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদল। তার পরে তালিকা সংশোধনের মেয়াদ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন গেজেটে সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দিয়েছে। অথচ ৩১ অক্টোবর, বুধবার কলকাতার কিছু সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভোটারদের কোনও আবেদন করার থাকলে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর বুথে গিয়ে ফর্ম নিতে বা জমা দিতে পারবেন! এই অদ্ভুত বিজ্ঞপ্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। রবীন দেব বৃহস্পতিবার বলেন, “একে তো রাজ্য নির্বাচন কমিশন অপদার্থতা দেখিয়েছিল। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করার পরে রাজ্যের এই বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি আরও বাড়ল! ৩১ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২৫, ২৬ অক্টোবরের কথা বলার মানে কি? তা-ও ২০১৩ সাল উল্লেখ করে? এই দায়িত্বজ্ঞানহীন বিজ্ঞপ্তিতে মনে হচ্ছে, ভোটার তালিকা সংশোধনের মেয়াদ বৃদ্ধি তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না!” রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের কথায় চলছে বলে সরব হয়েছিল সিপিএম। রবীনবাবু এ দিন বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বলছি, কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন না! রাজ্যবাসীকে আর্জি, তালিকা সংশোধনের মেয়াদ বৃদ্ধির এই সুযোগ গ্রহণ করুন। ঘরছাড়া মানুষও যেন বঞ্চিত না হন।”

হুগলিতে মৎস্যজীবী উন্নয়ন সংস্থায় পড়ে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা
ইঞ্জিনিয়ারের অভাবে কাজের প্রকল্প তৈরি না হওয়ায় প্রায় সাত মাস ধরে হুগলি জেলার মৎস্যচাষি উন্নয়ন সংস্থায় পড়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রায় সাড়ে ২২ লক্ষ টাকা। ফলে, সমস্যায় পড়েছেন বহু মৎস্যজীবী শ্রমিক। তাঁরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন সমিতির মেলবন্ধনে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে ওই টাকা খরচ করার কথা। যেমন পুকুর সংস্কার, নতুন পুকুর খনন ইত্যাদি। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় সাত মাস ধরে জেলায় ওই কাজ হয়নি বললেই চলে। রাজ্য মৎস্য দফতরের অধীন মৎস্যচাষি উন্নয়ন সংস্থার হুগলি জেলার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক লক্ষ্মীকান্ত ঘোষ বলেন, “দফতরে ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় প্রকল্প রচনা করা যায়নি। তবে, সেই সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে।” রাজ্য মৎস্য দফতরের অধিকর্তা ভরত লাহা বলেন, “সাব -অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কম আছেন ঠিকই। অন্য জেলার ইঞ্জিনিয়ারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কাজ সচল রাখা হচ্ছে। হুগলিতেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন দফতরের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অন্য দফতরের প্রকল্পগুলির মেলবন্ধন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে। হুগলিতে ওই প্রক্রিয়ায় গতি আসে ২০১২ সালে। পঞ্চায়েত এবং সেচ দফতর পঞ্চায়েত মৎস্য দফতরের মেলবন্ধনে বেশ কিছু কাজ হয়। তার আগে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পোলবা -দাদপুর ব্লকের রাজহাট পঞ্চায়েত এলাকায় সরস্বতী নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ হয়। ২০১২ সালের গোড়ায় খানাকুল এবং আরামবাগের বেশ কিছু নদীবাঁধ সংস্কার করা হয় ওই প্রকল্পে।

মহিলাদের ক্ষমতায়নে উদ্যোগী মমতা
রাজ্যে মেয়েদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় সাধনে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিষয়ে মহাকরণে একটি বৈঠক করেন তিনি। মহিলা ক্ষমতায়নের জাতীয় মিশনের অন্তর্গত স্টেট মিশন অথরিটি (এসএমএ )-এর মাধ্যমে রাজ্য কাজে এগোবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নারীকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের দাবি, “মেয়েদের স্বনির্ভর করার এই মিশন গড়ার কাজে পশ্চিমবঙ্গ গোটা দেশেই অগ্রণী। এক মাসের মধ্যে এসএমএ এই কাজের একটি নির্দেশিকা তৈরি করবে। পরে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসএমএ - সভানেত্রী। ছাড়া, মহিলাদের উন্নয়নের কাজে জড়িত ১৪টি দফতরের মন্ত্রী, রাজ্য মহিলা কমিশনের সভানেত্রী সুনন্দা মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন, নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ কয়েকজনকেও এসএমএ - সদস্য করা হয়েছে। সাবিত্রী বলেন, “বিভিন্ন দফতরের বাজেট মেয়েদের বিকাশের কাজে কী ভাবে ব্যবহার করা যায়, তা এই মিশন ঠিক করবে।”

এফডিআই-প্রচার শুরু কালীপুজোর পরেই
খুচরো ব্যবসায়ে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) নিয়ে কালীপুজোর পরেই রাজ্য জুড়ে প্রচারে নামবে প্রদেশ কংগ্রেস। এফডিআইয়ের সমর্থনে জনসমক্ষে অবিলম্বে প্রচারে নামার জন্য হাইকম্যান্ড নির্দেশ দিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। প্রচারের প্রস্তুতির জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচ সদস্য নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। দলের বিধায়ক, সাংসদ ও জেলা নেতাদেরও প্রচারের বিষয়টি জানিয়ে রেখেছেন প্রদীপবাবু। বস্তুত এফডিআইয়ের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তৃণমূল বেরিয়ে এসেছে। জোট ভেঙেছে। প্রদীপবাবু বলেন, “দেশের আর্থিক উন্নয়নে সংস্কার যে জরুরি তা মানুষকে বোঝাতেই আমরা পথে নামব।” কালীপুজোর আগেই প্রচারের কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে বলে এ দিন কমিটির আহ্বায়ক নির্বেদ রায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কালীপুজোর আগেই প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগামী রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের সমাবেশ এবং আগামী ৯ নভেম্বর দিল্লিতে ‘মিনি এআইসিসি’ হবে। সে জন্য দলীয় নেতাদের অনেকেই দিল্লি যাবেন। তাঁরা ফিরলেই এফডিআই নিয়ে আমরা প্রচারে নামব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.