বেঁধে দিল সময়সীমাও |
ই -ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্পে কেন্দ্র
মঞ্জুর করল ৫০ কোটি
গার্গী গুহঠাকুরতা • কলকাতা |
|
|
‘ই -ডিস্ট্রিক্ট’ প্রকল্প চালু করার পথে আরও এক পা এগোল পশ্চিমবঙ্গ।
গত সপ্তাহের শেষে রাজ্যের ই -গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আয় ও নাগরিকত্বের শংসাপত্র, পেনশন, বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা, জন -অভিযোগ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অনুদান -সহ বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য। কেন্দ্র এই প্রকল্পের জন্য ৫০ কোটি মঞ্জুর করেছে। একই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে বলেছে, ‘ই -ডিস্ট্রিক্ট’ প্রকল্পের আওতায় থাকা ১০টি পরিষেবা চালু করে দিতে হবে আগামী মার্চের মধ্যেই।
রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর সূত্রের দাবি, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় কাজে গতি আসবে। বাঁকুড়া ও জলপাইগুড়িতে পাইলট প্রকল্পের কাজ এগোনোর পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। পুরোদমে প্রকল্প চালু হলে, সরকারি পরিষেবা পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে সাধারণ মানুষের পক্ষে। পাওয়া যাবে জমি সংক্রান্ত নথি এবং তথ্যও। এই সমস্ত নথিতে ‘ডিজিটাল’ সই থাকবে।
রাজ্যের দাবি, প্রতি জেলাতেই নাগালের মধ্যে তথ্যকেন্দ্র বা কিয়স্ক থাকবে। যাবতীয় শংসাপত্র পাওয়া যাবে সেখান থেকেই। তবে প্রথম দফায় কোন ১০টি পরিষেবা দেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগেই বাঁকুড়া ও জলপাইগুড়িতে চালু হয় ‘ই -ডিস্ট্রিক্ট’-এর পাইলট প্রকল্প। বিগত বাম সরকারের দাবি ছিল, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সারা রাজ্যে চালু হয়ে যাবে এই প্রকল্প। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি।
অথচ সারা দেশের মধ্যে ই -গভর্ন্যান্স প্রকল্প প্রথম চালু হয়েছিল এ রাজ্যেই। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ‘বাংলার মুখ’ নামে সেই তথ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছিল মূলত সরকারি গাফিলতি এবং বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে। গ্রামের মানুষ ওই সব কেন্দ্র থেকে সরকারি তথ্য জানতে আগ্রহী থাকলেও, সে ভাবে পরিষেবা পাননি।
এখন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে প্রায় ৭ হাজার তথ্য পরিষেবা কেন্দ্র তৈরি করেছে রাজ্য। তাদের বক্তব্য, এই সব কেন্দ্র থেকে ঠিক ভাবে পরিষেবা দেওয়া গেলে, শংসা পত্র বা তথ্য পেতে কাউকে গ্রাম থেকে জেলাশহরে ছুটে আসতে হবে না। ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে তথ্যকেন্দ্র থেকেই তা পাওয়া যাবে।
বছর তিনেক আগের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, এ রাজ্যে ই -গভর্ন্যান্স খাতে মাথা -পিছু বরাদ্দ অন্য রাজ্যের তুলনায় কম না -হলেও, তার সুফল পৌঁছয়নি জনতার কাছে। গুজরাত, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় পিছনেই পড়ে থেকেছে পশ্চিমবঙ্গ। এখন নতুন জনামায় কেন্দ্রের নজরদারিতে সেই প্রকল্প কতটা সফল হয়, সেটাই দেখার। |