আপাতত স্থগিত রইল ভাগীরথী দুগ্ধ উৎপাদক সমিতির নির্বাচন। আগামী ১২ নভেম্বর ওই ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার জেলা কো-অপারেটিভ সোসাইটি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট অভিজিৎ সরকার ওই নির্বাচন স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে ভাগীরথী’র মানেজিং ডিরেক্টরের কাছে চিঠি পাঠান। ম্যানেজিং ডিরেক্টর নির্মলকুমার কর্মকার বলেন, “ওই নির্বাচন স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে এদিন আমার দফতরে চিঠি এসেছে। সেই মত ভোটারদেরও চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।” এদিকে নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। এদিন জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “গত বার ১২টি আসনই কংগ্রেসের দখলে ছিল। এবারও ১২টি আসনেই কংগ্রেসের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। কিন্তু সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস কেউ-ই সব আসনে প্রার্থী দিতে না পেরে নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তা সত্ত্বেও হারের ভয়ে ভোট বানচাল করার খেলায় মেতেছে।” অভিজিতবাবু বলেন, “কো-অপারেটিভ ইলেকশন কমিশনারের নির্দেশের কথা আমি ভাগীরথী’র এমডি-কে লিখিত জানিয়ে দিয়েছি। এর বেশি বলা সম্ভব নয়।”
|
সরকারি বাসের ধাক্কায় বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে এক স্কুল ছাত্রের। নাম তৌফিক হোসেন (১৩)। বাড়ি বহরমপুরে ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ের শিয়ালমারি গ্রামে। শিয়ালমারা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। এদিন বাড়ি ফেরার পথে বহরমপুর-সিউড়ি রুটের বহরমপুরগামী ওই সরকারি বাস ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই তৌফিকের মৃত্যু হয়। পরে উত্তেজিত জনতা ওই বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। বহরমপুর থানার আইসি মোহায়মেনুল হক বলেন, “দুর্ঘটনার পরেই বাসের চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। তবে বাসটিকে আটক করে বহরমপুর থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে পাড়ার কয়েক জনের সঙ্গে খাগড়া স্টেশনের দিক থেকে তৌফিক বাড়ি ফিরছিল। সেই সময়ে কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কে খাগড়াঘাট রেল গেটের কাছে অন্য একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তার ডান দিক ঘেঁষে যাওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে উত্তেজিত গ্রামের মানুষ বাসে ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বহরমপুর দমকল বাহিনীর গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
|
জমির অভাবে বিদ্যুৎ দফতর মুর্শিদাবাদ জেলায় ৫টি ৩৩০০০ ভোল্টের সাবষ্টেশন তৈরির কাজ শুরু করতে পারছে না। তিন বছর আগে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ভরতপুর, ইসলামপুর, ভগবানগোলা, আহিরণ ও জঙ্গিপুরে এই সাবষ্টেশনগুলি তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ অর্থ পড়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রঘুনাথগঞ্জে বিদ্যুৎ দফতরের এক অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান জেলার গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণ দফতরের প্রকল্প আধিকারিক পামির সর্বাধিকারী। তিনি বলেন, “এই সাবষ্টেশনগুলি তৈরি হলে জেলার বিদ্যুৎ সরাবরাহ ব্যবস্থা খোলনলচে বদলে যাবে। বিদ্যুৎহীন গ্রামে বাড়তি বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে। মিটবে লো-ভোল্টেজের সমস্যা। জমির জন্য পুরসভা ও পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন জানিয়েও কাজ হয়নি। প্রতিটি সাবষ্টেশন তৈরিতে ৪ বিঘা করে জমি লাগবে। রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করছে না। বিদ্যুৎ দফতর বাজার দর অনুযায়ী জমি কিনতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে। ফলে বরাদ্দ টাকা রয়েছে পড়ে। শুরু হচ্ছে না সাবস্টেশন তৈরির কাজ।”
|
ফের বামফ্রন্টের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরছে। এমনই মন্তব্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। এ ব্যাপারে জঙ্গিপুর লোকসভা উপ-নির্বাচনের ফলাফলের পরিসংখ্যানই তাঁর ‘ভরসা’। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “জঙ্গিপুরের ফলাফল দেখে স্পষ্ট, বামফ্রন্টের নৈতিক জয় হয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি না রাখায় বামফ্রন্টের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরেছে।” এ দিন এবিটিএ-র এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরই শিক্ষাঙ্গনে মত্ত হস্তির দাপাদাপি শুরু হয়েছে। ৪৩ জন শিক্ষক খুন হয়েছেন। ছাত্রও খুন হয়েছে।” সেখানে বক্তব্য রাখেন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। |