বায়ুসেনার কর্মী নিয়োগের জন্য বহরমপুর স্টেডিয়ামের মাঠ খুঁড়ে ম্যারাপ বাঁধা চলছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি ওই স্টেডিয়ামেই ক্রিকেট মরসুম শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে গত ৪-৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্টেডিয়ামে ওই কর্মী নিয়োগ ‘যজ্ঞ’ শুরুর অনুমোদন দেওয়ায় জেলাপ্রশাসনের বিরুদ্ধে বেজায় চটেছে মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের (এমডিএসএ)। আপাতত বহরমপুরের বিভিন্ন ক্লাব ময়দানে ওই খেলা সরিয়ে নেওয়া ছাড়া তাদের আর গতি নেই।
প্রশাসন অবশ্য নির্বিকার। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিরঞ্জন কুমার বলছেন, “এর আগে ওই স্টেডিয়াম সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছিল। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। তাহলে এখন স্টেডিয়াম নিতে আপত্তি কোথায়?” ক্রিকেট মরশুমের দিকে তাকিয়ে তিন মাস আগে দুটি পিচ তৈরি করা হয়েছিল। এই অবস্থায় পিচ-সহ মাঠের বিভিন্ন জায়গা খুঁড়ে গর্ত করে বাঁশ-খুঁটি পোঁতার ফলে ওই পিচ তৈরি এখন বিশ বাঁও জলে! |
তার মধ্যে ওই কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে চার দিন ধরে মাঠের মধ্যে চলবে বুটের দাপাদাপি। এতে পিচ ও মাঠের দফারফা হবে। এমডিএসএ-র ফুটবল ও ক্রিকেট পরিচালন উপসমিতির সদস্য সঞ্জয়কুমার রায় বলেন, “খেলার মাঠের বাইরে স্টেডিয়াম চত্বরে প্রচুর জায়গা রয়েছে। জেলাপ্রশাসন চাইলে সেই জায়গা বায়ুসেনাকে দিতে পারতেন। পাঁচ দিন ক্রিকেট খেলা হতে পারে বলে দুটো পিচ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সব পরিশ্রম বৃথা গেল।”
এদিকে নতুন করে পিচ পরিচর্যা করে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু করতে দেড় থেকে দু’মাস লেগে যাবে। তত দিন ক্রিকেট প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখা সম্ভব নয়। কেননা, সিএবি-র ক্রিকেট সূচি মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা শেষ করার নিয়ম রয়েছে। এখন বিমানবাহিনীর কর্মী নিয়োগ শেষে বাঁশ-খুঁটি খুলে ফেলার জন্য ১০ দিন লাগবে।
এমডিএসএ-র পক্ষে নীহার মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেলাপ্রশাসনের তরফে আগে ওই মাঠ কাউকে দেওয়া হলে আয়োজক সংস্থাকে জানান হত। এখন জেলাপ্রশাসন তা জানানোর কোনও প্রয়োজন মনে করে না। ফলে অগস্ট থেকে মাঠ পরিচর্যা করার জন্য অর্থ-পরিশ্রম ব্যয় করা হলেও তা কাজে এলো না।” মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত সাহা বলেন, “ওই পাঁচিল সারানোর বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তবে স্টেডিয়ামে খেলার মাঠ অধিগ্রহণের বিষয়টি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমি জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।” |