|
|
|
|
তৃণমূলের মারামারিতে জখম ৭ জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুরে। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দু’দলেরই সাত জন জখম হয়েছেন। তার মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর। এঁরা সকলেই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনায় মহিলাদের উপর অশালীন আচরণেরও অভিযোগ উঠেছে। দু’পক্ষই স্থানীয় নেতৃত্বদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এলাকায় উত্তেজন্য থাকায় বৃহস্পতিবারও পুলিশি টহল চলছে। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় অবশ্য বলেন, “চন্দ্রকোনায় একটা গণ্ডগোল হয়েছে। খোঁজ নিচ্ছি।” এলাকা দখল নিয়েই গণ্ডগোল বাধে। কুঁয়াপুর পঞ্চায়েতের মোহবনিতে ১০০ দিনের প্রকল্পে বুধবার থেকে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। রাস্তা কোন দিকে হবে তা নিয়েই দু’পক্ষের বচসা বাধে। পরে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। তার জেরে শেষে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা তৈরির কাজ। চন্দ্রকোনা ২-এর বিডিও সৈকত হাজরা বলেন, “গণ্ডগোলের জন্য আপাতত রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।” দলীয় সূত্রে খবর, কুঁয়াপুরের লড়াই মূলত তৃণমূলের চন্দ্রকোনা ২ ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীর ঘনিষ্ট সঞ্জিত মিদ্যা, অশোক সরকারের সঙ্গে সজিৎ দিগার, সহদেব অধিকারীর। যদিও বুধবারের ঘটনায় কুঁয়াপুর বুথ কমিটির সভাপতি সজিৎ দিগার, সহদেব অধিকারীরা গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুরো জেলার সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্রকোনার দুই ব্লকেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল লেগেই রয়েছে। মারধর, বাড়ি ভাঙচুর তো প্রায় রোজকার ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতিতে এখন থেকে প্রতিদিনই এলাকায় মিটিং-মিছিল লেগে রয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তৃণমূলের এক জেলা কমিটির নেতার কথায়, “শুধু কুঁয়াপুরই নয়, চন্দ্রকোনা এবং ক্ষীরপাই ব্লকের পলাশচাবড়ি, কৃষ্ণপুর, বালা, জাড়া, লক্ষ্মীপুর, মাংরুল, মনোহরপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের কারণে এখন থেকেই বিভিন্ন গোষ্ঠী নিজেদের অস্তিত্ব প্রমান করতে মহড়া শুরু করে দিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে ঠান্ডা লড়াইও। দলীয় কোন্দলের জেরে রাস্তা তৈরি কাজ শুরুতেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ দলের কর্মী থেকে এলাকার বাসিন্দা সকলেই। প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ না করলেও এলাকায় একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে। তৃণমূলেরই একটি সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীপদ পেতে দুই গোষ্ঠীই মরিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এলাকার উন্নয়নকে গুরুত্ব না দিয়ে এখন থেকে রাজনৈতিক নেতারা ভোটে কারা হবে তাতে জোর দিচ্ছেন।” |
|
|
|
|
|