টুকরো খবর
দুর্ঘটনার কবলে পুলিশ সুপার
দুর্ঘটনার হাত থেকে জোর বাঁচলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা। বৃহস্পতিবার সকালে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, নলহাটির সিএডিসি মোড় এলাকার ঘটনা। একটি যাত্রীবোঝাই গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় পুলিশ সুপারের গাড়ির। দুর্ঘটনায় পুলিশ সুপারের গাড়ির চালক-সহ ৫ জন আহত হলেও হৃষিকেশবাবুর তেমন কোনও চোট লাগেনি। আহতদের দু’জন রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হৃষিকেশ মিনা বলেন, “সকালে নলহাটি থানা থেকে সিউড়ি ফিরছিলাম। সামনেই পাথর শিল্পাঞ্চল হওয়ার কারণে মালবাহী গাড়ির ভিড়ে রাস্তাটি সঙ্কুচিত হয়ে ছিল। এই সময় বিপরীত দিক থেকে একটি বাস এসে যাওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সুপার কাজ সেরে নলহাটি থেকে সিউড়ির দিকে ফিরছিলেন। অন্য দিকে, পাঁচজন যাত্রী নিয়ে অন্য গাড়িটি রামপুরহাট থেকে নলহাটির দিকে যাচ্ছিল। ঘটনার সময় এত দ্রুত গাড়ি দু’টি মুখোমুখি চলে এসেছিলেন যে, কোনও চালকই সংঘর্ষ এড়াতে পারেননি। রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীবোঝাই গাড়ির চালক সন্যাসী মেহেনা-র দাবি, “বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য গাড়ির চালক কোন দিকে যাব বুঝে উঠতে না পেরে আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষে ওই গাড়িটি একদিকে ঘুরে গিয়ে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে।” ওই সময় রাস্তার ধার দিয়ে গরু নিয়ে ফিরছিলেন নলহাটি থানা মেহেনা গ্রামের বাসিন্দা তরুণ লেট। দুর্ঘটনায় তিনি আহত হলেও তার গরুটির মৃত্যু হয়। পুলিশ যাত্রীবোঝাই গাড়িটিকে আটক করেছে।

নলহাটিতে বধূ খুনের অভিযোগ
নিজের ভাইপোর হাতে মার খাচ্ছিলেন স্বামী। আটকাতে যান স্ত্রী। অভিযোগ, ভাইপো, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে বেধড়ক পিটিয়ে খুন করেন ওই বধূকে। নলহাটি থানার কয়থা গ্রামের এই ঘটনায় বৃহস্পতিবারই অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা। পুলিশ এখনও কাউকে ধরতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম সারিফা বিবি (৩০)। তাঁর বাপের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার বেলুড়ি গ্রামে। ২০০০ সালে কয়থা গ্রামের দিনমজুর কুরবান শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সারিফার বাবা ইসমাইল শেখ লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণে এ দিন সকালে কুরবানের সঙ্গে তাঁর ভাইপো মুশা শেখের বিবাদ হয়। মুশা, তাঁর স্ত্রী মিনা বিবি ও ছেলে রাহুল কুরবানকে মারতে শুরু করেন। ইসমাইলের অভিযোগ, “স্বামীকে মার খেতে দেখে দেখে আমার মেয়ে এগিয়ে যায়। সে সময় মুশারা ধাক্কা দিলে সারিফা টাল সামলাতে না পেরে উনুনের উপরে পড়ে যায়। উনুনের লোহার শিক মেয়ের পিঠে ঢুকে যায়। ওই অবস্থাতেও আমার মেয়েকে মারধর করা হয়।” কুরবানের চিৎকারে পড়শিরা ছুটে এলে মুশারা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সারিফা বিবিকে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ব্যহত টেলি-পরিষেবা
রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা টেলিফোন লাইনের অপটিকাল ফাইবার চুরি করে নেওয়ায় দিনভর টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যহত হল রামপুরহাট ও নলহাটি এলাকায়। যার জেরে দুই শহরের বাসিন্দারা বিভিন্ন পরিষেবা না পেয়ে দুর্ভোগের মুখে পড়লেন। তবে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা। মাসের প্রথম দিনই ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যহত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন পেনশনভোগীরাও। পরে রাতের দিকে মেরামতির পর টেলিকম বিভাগের সিউড়ি অফিসের ট্রান্সমিশন বিভাগের সহকারি বাস্তুকার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “জাতীয় সড়কের উপর মল্লারপুর পুলিশ ফাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে দুষ্কৃতীরা অপটিকাল ফাইবার চুরি করেছে। প্রয়োজনীয় মেরামতি করে যত দ্রুত সম্ভব ফের পরিষেবা চালু করার চেষ্টা চলছে।” ঘটনায় টেলিফোন বিভাগ বৃহস্পতিবারই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে।

সেতু ভেঙে বন্ধ রাস্তা
মাস পেরোলেও ভেঙে যাওয়া সেতু পুনর্নিমাণে উদ্যোগ না নেওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে একটি বাসরুট। এলাকাবাসীর দাবি, বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও মেলেনি সুরাহা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একমাস আগে শিবগ্রাম-ষাটপলশা সড়কের উপর ভগীরথপুর গ্রাম লাগোয়া সেচ খালের উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়ে। যার জেরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিবগ্রাম-ষাটপলশা সড়কে। তারপর থেকেই বহরমপুর-রামপুরহাট এবং রামনগর-রামপুরহাট রুটের বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে আছে। এলাকার বাসিন্দাদের তাই ঘুরপথে পৌঁছতে হচ্ছে গন্তব্যে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.