পরম্পরা মেনে সোমবার দুর্গার কাঠামোতে লক্ষ্মীপুজো হয়েছে মানবাজারে। পুরুলিয়ায় সর্বজনীন পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। কিছু শতাব্দী প্রাচীন ও পারিবারিক পুজোর প্রতিমাগুলি এখনও রয়েছে। সেই সব মন্দিরে সোমবার দুর্গার কাঠামোতে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা হয়।
মানবাজার সুবর্ণবণিক সমিতির দুর্গাপুজার পুরোহিত বাবলু মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রথা কয়েক শতাব্দী ধরে চলে আসছে। কী ভাবে কেন এ ধরনের প্রথা চালু হয়েছিল সে ইতিহাস কারও জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি পুরুলিয়ায় বেশিরভাগ মন্দিরে দুর্গাপুজোর পরে ওই কাঠামোতে লক্ষ্মীপুজা হয়ে আসছে। লাগোয়া বাঁকুড়া জেলার কয়েকটি থানা এলাকায় এ ধরনের পুজোর নজির আছে।” |
মানবাজারের বাসিন্দা সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবলু কুণ্ডু বলেন, “দুর্গাপুজোর আয়োজনে খরচ বেশি। নতুন প্রতিমা গড়ে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করার চেয়ে ওই কাঠামোতে লক্ষ্মীপুজো করলে খরচ খানিকটা কমে। সম্ভবত এই কারণেও এই পরম্পরা চালু হয়ে থাকতে পারে।” তবে সর্বজনীন পুজোর ক্ষেত্রে রাস্তা, মাঠ দখল করে মণ্ডপ হয়ে থাকে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হয়। স্থায়ী মন্দিরের প্রতিমার ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা থাকে না। মানবাজার নামপাড়ার একটি পুজো কমিটির সদস্য চণ্ডীদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই সব মন্দিরে সাধারণত একচালার কাঠামোর মধ্যে মা দুর্গার পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে থাকেন। বিজয়ার দিন দুর্গার ঘট বিসর্জন হয়ে গেলেও ওই প্রতিমায় সন্ধ্যারতি চালু থাকে। দুর্গার কাঠামোতে লক্ষ্মীপুজো হয়ে যাওয়ার পরে একটি শুভদিন দেখে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে থাকে।” |