টুকরো খবর |
তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর, দলীয় সমর্থক ধৃত বেলদায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের এক কার্যালয় ভাঙচুর হল বেলদার রেনুয়া গ্রামে। দলীয় দ্বন্দ্বের জেরে এই ভাঙচুর বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। দলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের অবশ্য বক্তব্য, “একদল দুষ্কৃতী দলের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে।” ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ গুরুপদ খাটুয়া নামে এক তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। বেলদা থানার ওসি পলাশ মিত্র বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” বেলদার হেমচন্দ্র পঞ্চায়েতের রেনুয়া গ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়টি রবিবার রাতে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মাঝেমধ্যেই এখানে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সূর্য অট্ট ও নতুন সভাপতি মিহির চন্দের অনুগামীদের গোলমালের জেরেই যে এই ঘটনা, তা দলীয় নেতৃত্বের বক্তব্যে স্পষ্ট। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, “ওই কার্যালয়ে আমাদের ৭-৮ জন কর্মী-সমর্থক বসেছিলেন। আচমকাই একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। অ্যাসবেসটস্ ভাঙচুর করে।” ঘটনায় কি দলের কেউ জড়িত? মিহিরবাবুর মন্তব্য, “মনে হচ্ছে কারও ইন্ধন থাকতে পারে। এখন সিপিএমের এতটা দুঃসাহস নেই যে আমাদের কার্যালয়ে এসে হামলা করবে। তা-ও আবার এই এলাকায়।” এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি সূর্যবাবু। তবে তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত এক নেতার বক্তব্য, “ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে গোলমালের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে।” গোলমালের খবর পেয়ে আসে পুলিশ। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
|
ইন্দুমতি ফিরে পেলেন বাবাকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
ইন্দুমতি পেল বাবাকে |
শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়েছিলেন ইন্দুমতি মহাকুড। তারপর চলে আসেন মেদিনীপুরে। ইতিউতি ঘুরতে দেখে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। হোমে ঠাঁই হয়। ক্রমে ঠিকানা জেনে পুলিশের মাধ্যমে বাড়িতে খবর যায়। সোমবার, লক্ষ্নীপুজোর দিন মেয়েকে বাবার হাতে তুলে দিলেন মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত। ইন্দুমতির বাড়ি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বড়সাই থানার তালপোদা গ্রামে। মাস তিনেক আগে উত্তরপ্রদেশের এটা গ্রামের অজয় মহাকুডের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পুজোতে বাপের বাড়ি আসবেন বলে রওনা হয়েছিলেন ইন্দুমতি। কিন্তু এসে পৌঁছননি। মেয়ের বাবা সুন্দরমোহন মহাকুড বলেন, “মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলাম। জামাইও বাড়ি ফেরেনি বলে জানায় ওঁরা। রবিবার রাতে পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারি, মেয়ে মেদিনীপুরে রয়েছে। তারপরেই মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য মেদিনীপুরে ছুটে আসি।” ইন্দুমতির কথায়, “ট্রেনে হঠাৎ মাথার যন্ত্রণা হতে শুরু করে। ট্রেন থেকে নেমেও পড়ি। তারপর কোথায় যাচ্ছি, কী হয়েছে কিছুই জানি না। ঘোরের মধ্যে মেদিনীপুরে এসে পৌঁছেছি।”
|
ধৃত সিপিএম কর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক মহিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক সিপিএম কর্মী। রবিবার রাতে পিংলার সাঙ্গাড় থেকে গ্রেফতার করা হয় জগন্নাথ সিংহ নামে ওই সিপিএম কর্মীকে। ২৩ অক্টোবর পুড়ে মৃত্যু হয় পিংলার কদমগেড়িয়া গ্রামের আরতি দাসের (৪৬)। তাঁর স্বামী প্রবোধ দাস প্রায় ১২ বছর ধরে নিখোঁজ। অভিযোগ, প্রবোধবাবুকে অপহরণ করে খুন করেছিল সিপিএমের ‘সশস্ত্র বাহিনী’। রবিবার মৃতার মেয়ে পুতুল দাস স্থানীয় ১৩ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ জানান।
|
চোর সন্দেহে আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চোর সন্দেহে এক যুবককে পুলিশের হাতে দিলেন এলাকাবাসী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে খড়্গপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। শেখ সিরাজ নামে ওই যুবকের বাড়ি শহরের পাঁচবেড়িয়ায়। তার কাছে একটি দূরবীনও মিলেছে। অভিযোগ, এ দিন সকালে সিরাজ কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে চুরির চেষ্টা করে। পরে হাতেনাতে ধরা পড়েন। এলাকার কাউন্সিলর সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় মানুষই ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে দিয়েছেন। চুরি-ছিনতাই এড়াতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো উচিত।” পুলিশ ওই যুবককে আটক করেছে।
|
ধৃত গৃহশিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত দেবাংশু দাস অবশ্য সোমবার মেদিনীপুর আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে রবিবার রাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই দিন পড়া শেষে ওই ছাত্রীকে বসিয়ে রাখা হয়। তখনই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ মেদিনীপুরের কর্নেলগোলা থেকে দেবাংশুকে গ্রেফতার করে।
|
সাহিত্যসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রবিবার খড়্গপুর গোলবাজারে রেল বালক বিদ্যালয়ে হল সাহিত্যসভা। আয়োজক ‘ঘরোয়া সাহিত্যবাসর’। ‘রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলা’ নিয়ে আলোচনা করেন নন্দদুলাল রায়চৌধুরী। সদ্য প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণে বক্তব্য রাখেন অনিল ঘড়াই ও প্রবীর দাস। |
|