রাজনগরে হনুমানের দৌরাত্ম্য, আক্রান্ত ১০
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজনগর |
মাস খানেক ধরে একটি হনুমানের আক্রমণে আতঙ্কিত রাজনগরের গাংমুড়ি ও রানিগ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার দিনভর চেষ্টার পর অবশেষে তাকে ধরতে সমর্থ হয় বন দফতর। স্থানীয় সূত্রের দাবি, ওই হনুমানের দ্বারা শিশু-মহিলা মিলিয়ে এলাকার প্রায় দশ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। গাংমুড়ি গ্রামের ধীরেন বাগদির কথায়, “হনুমানটি ধরা না পড়া অবধি স্বস্তিতে ছিলাম না। সারাক্ষণই আমাদের আতঙ্কে থাকতে হচ্ছিল, এই বুঝি কাউকে কামড়াল!” তাঁদের অবশ্য অভিযোগ, বহুবার বন দফতরের কাছে এ বিষয়ে আবেদন করেও বিশেষ ফল হয় নি। মূলত তাদের তৎপরতার অভাবেই এত দিন হনুমানটিকে ধরা যাচ্ছিল না বলে তাঁরা জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগের সঙ্গে একমত এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য প্রশান্ত লায়েকও। রানিগ্রামের কেশব মিশ্র বলেন, “সোমবার সকাল থেকে বন দফতর যে চেষ্টা শুরু করেছে তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল।” এলাকাবাসী জানালেন, গত রবিবার দুই মহিলাকে ওই হনুমান কামড়ানোর পর এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা মিলিত ভাবে রাজনগরের বিডিও, ওসি এবং রেঞ্জারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান। তারপরেই নড়েচড়ে বসে বন দফতর। যদিও অভিযোগ মানেননি রেঞ্জার রামরঞ্জন রায়। তিনি বলেন, “আগেও আমরা হনুমানটিকে ধরার চেষ্টা করেছি। সেই চেষ্টা বিফল হওয়ার পর সোমবারই ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে হনুমানটিকে ধরার জন্য বাঁকুড়া থেকে দুই সদস্যের একটি দলকে নিয়ে আসা হয়েছে।” তাঁর দাবি, “হনুমান ধরা দেখতে ভিড় জমে যাওয়ায় এ দিন বিকাল পর্যন্ত কাজ করা যায় নি। পরে আমরা তাকে ধরে ফেলি।”
|
মা-হারা হনুমান শাবককে উদ্ধারে অনীহা বনবিভাগের
নিজস্ব সংবাদদাতা • জঙ্গিপুর |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দিন কয়েক আগে মারা গিয়েছে তার মা। দিন কয়েক মায়ের জন্য খুব ছটফট করেছিল অনাথ শাবকটা। তারপর ছোট্ট এক ঝুড়ির আড়ালে ফলমূল আর এনামেলের বাটিতে এগিয়ে দেওয়া দুধ খেয়ে দিব্যি মেনে নিয়েছে তার ভবিতব্য। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সাহেব বাজার ক্লাবের জনা কয়েক যুবক বুক দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে মাস খানেকের ওই হনুমান শাবকটিকে। যাদের এগিয়ে আসার কথা ছিল, সেই বন দফতরের অবশ্য হেলদোন নেই। আড়মোড়া ভেঙে রঘুনাথগঞ্জের রেঞ্জ অফিসার কাশীনাথ অধিকারী বলেন, “শাবকটিকে নিয়ে আমরা কী করব? আমাদের তেমন পরিকাঠামো নেই। ক্লাবের ছেলেদের বলেছি বাচ্চাটিকে কোনও গাছে ছেড়ে দিতে।” এমন দায়সারা মনোভাব দেখাতে পারে বন দফতর? ওই বনকর্মীর মনোভাবে বেজায় চটেছেন বনমন্ত্রী হিতেন বমর্ন। বন বিভাগের পদস্থ কর্তাদের বিষয়টি দেখতে বলেছেন তিনি। ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (নদিয়া-মুর্শিদাবাদ) তৃপ্তি সাহা বলেন, “রেঞ্জ অফিসারের এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। শাবটিকে উদ্ধার করে আমাকে জানাতে পারতেন। আমি নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতাম।” তবে দিন দশেক কেটে গেলেও সে ব্যাপারে সাড়া মেলেনি। ক্লাবের ছেলেরা একটি ঝুড়ি চাপা দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের এক জন, অসীম রায় বলেন, “শাবকটির এখনও দাঁত ওঠেনি। ভাল করে খেতে পারে না। ছেড়ে দিলে বড় হনুমানরাই তো মেরে ফেলবে!”
|
বাঘে নিল প্রৌঢ়াকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোসাবা |
খালে কাঁকড়া ধরার সময় মৎস্যজীবী এক প্রৌঢ়াকে টেনে নিয়ে গেল বাঘে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পিরখালি জঙ্গলের কাছে কুসুমমারি খালে। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ওই প্রৌঢ়ার নাম সুকুমারী সরকার। বাড়ি গোসাবার লাহিড়িপুরে। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ওই গ্রাম থেকে সুকুমারীদেবী-সহ ৫-৬ জনের একটি দল ওই খালে কাঁকড়া ধরতে যায়। নদীতে জাল ফেলার সময় পিছন থেকে বাঘ এসে ওই প্রৌঢ়াকে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গীরা তাড়া করেও তাঁকে বাঘের মুখ থেকে ছাড়িয়ে আনতে পারেননি। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর প্রশান্তকুমার পণ্ডিত বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি। তবে, লিখিত ভাবে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।
|
শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগে হাবরা থানার পুলিশ সোমবার দুপুরে স্থানীয় ফুলতলা বাজার থেকে পরিমল রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ওই বাজারে পানের দোকান রয়েছে ধৃতের। সেখান থেকে সে গোপনে শব্দবাজি বিক্রি করছিল। ধৃতের কাছ থেকে ৭৫ ব্যাগ চকোলেট বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
|
নোংরা ফেলে দিঘির জলদূষণের অভিযোগ তুললেন ক্যানিংয়ের মাতলা-১ পঞ্চায়েতের সাত নম্বর দিঘির পাড়ের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা স্নান করা থেকে গৃহস্থালি, সব কাজেই ওই দিঘির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু নোংরা আবর্জনা ফেলায় দিঘির জল দূষিত হচ্ছে। মহকুমা শাসক শেখর সেন বলেন, “মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে কিছুদিন আগেই ওই দিঘি সংস্কার করা হয়। ফের ময়লা ফেলার বিষয়টি দুঃখজনক। দূষণ রুখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।” |