বিসর্জনের ২৪ ঘন্টা পরেও নদীতেই পড়ে রইল মূর্তির কাঠামো-সহ নানা আবর্জনা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার পুরসভার পরিকল্পনার অভাবে নদীর এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এমনকি, পুজোর বিসর্জনের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিনের জন্য বিশেষ সাফাই দল কেন গড়া হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত ২৪-২৫ অক্টোবর কালজানিতে বিসর্জনের পর ২৬ অক্টোবর কাঠামো তোলা, নদী পরিষ্কারের কাজ হয়েছে। তবে রবিবার ২৮ অক্টোবর, কিছু প্রতিমা বিসর্জন হবে তা আগে থেকে জানা ছিল না। সোমবার লক্ষী পুজো থাকায় কাজ হয়নি। আজ, মঙ্গলবার সাফাইয়ের কাজ হবে। নোংরা আবার্জনা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে।” |
প্রতিমা বিসর্জনের পরে পুরসভা কাঠামো না তোলায় দূষিত হচ্ছে
কালজানি নদী। সোমবার আলিপুরদুয়ারে ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে। |
এদিন শহরের কালজানি নদীর সেতুর পাশে বিসর্জন ঘাটে গিয়ে দেখা গিয়েছে, যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে মাটির ভাঙা কলসি, কলা গাছ। নদীর চর থেকে জলে পড়ে রয়েছে প্রতিমা তৈরির খড়, কাঠ এবং বাঁশের কাঠামো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিমা নিরঞ্জনের পর নদীতে সাফাইয়ের কাজ শুরু করেনি পুরসভা। এতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নদীর জল থেকে কাঠামো তোলার কাজ করেছেন এলাকার এক বাসিন্দা দিলীপ দাস। তিনি জানান, স্থানীয় একটি পুজো কমিটি তাঁদের প্রতিমার কাঠামো তোলার দায়িত্ব দিয়েছে। কোনও পুর কর্মীর দেখা মেলেনি।
আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে নদী থেকে কাঠামো তুলে না নিলে নদী দূষণ হবেই। নদীর জলে নানা রাসায়নিক রঙ জলে মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে। এর থেকে নদীর মাছ, জলজ উদ্ভিদ, পোকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পুরসভার পরিকল্পনার অভাব এটা হয়েছে।” |