নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বামেদের শক্তি খর্ব হওয়ার সুযোগেই খুচরো ব্যবসায়, বিমাশিল্পে বা পেনশনে বিদেশি বিনিয়োগের মতো বিভিন্ন সংস্কার কাজ করতে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার উঠে পড়ে লেগেছে বলে দাবি করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। রবিবার শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে দলীয় কার্যালয়ে দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্প্রসারিত বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। বিমানবাবু বলেন, “বাম শক্তিকে খর্ব করার জন্যই এটা সম্ভব হচ্ছে।
|
শিলিগুড়িতে
বিমান বসু।
—নিজস্ব চিত্র। |
আজকের এই দুরাবস্থার জন্য কংগ্রেস, বিজেপি যেমন দায়ী তেমনই দায়ী তৃণমূল। দেশের মানুষকে তা বুঝতে হবে। ওই সমস্ত সংস্কারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ, যে ইস্যু নিয়ে তাঁরা বরাবর সরব হয়েছেন সেই বিমা শিল্পে, খুচরো ব্যবসায় বা পেনশনে বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে তৃণমূল এত দিনে প্রশ্ন তুলছে। বস্তুত, তৃণমূলের এই আন্দোলন ‘মেকি বামপন্থী’ বলে অভিহিত করেন তিনি। তাঁর কথায়, একমাত্র বামেরাই ২০০২ সালে এনডিএ সরকারের জমানায় খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা করেছেন। কেন্দ্রে তখন সরকারের শরিক দল তৃণমূল। ২০০৫ সালে ৬১ জন সাংসদ নিয়ে প্রথম ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল বামেরা। সে সময়ও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের প্রশ্নে বিরোধিতা করেছে তারা। অথচ তৃণমূল তখন বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি। এখন রাজনৈতিক মুনাফা লাভ করতেই তৃণমূল নেত্রী এ সবের বিরোধিতায় নেমেছেন। বিমানবাবুর মতে, বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূলের অর্থনৈতিক নীতি অভিন্ন। এখন বামেরা সুবিধা পেয়ে যাবে বলে তৃণমূল আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।
পাশাপাশি কেন্দ্রে তৃণমূলের মন্ত্রীরা ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের উপদেষ্টা হিসাবে তাঁদের কাজ করানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিমানবাবু। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এ দিন বলেন, “তৃণমূলের মন্ত্রীরা ইস্তফা দিয়েছেন। সাংসদরা রাজ্যে মন্ত্রী হতে পারেন না। অথচ তাঁদের ক্ষমতায় রাখার জন্য এখন মন্ত্রীদের ‘উপদেষ্টা’ করা হচ্ছে। দেশের কোনও রাজ্যে এমন হয় না।”
সিপিএমেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, এ দিন বৈঠকে আগামীতে দার্জিলিং জেলা সিপিএমের আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাহাড়ের বাসিন্দারা ছাড়াও বিভিন্ন চা বাগান এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে পেতে স্থানীয় নেতৃত্বকে তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিমানবাবু। |