র্যান্টি-ঝড়ে আই লিগে বিমান দুর্ঘটনা |
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা |
প্রয়াগ ইউনাইটেড-৫ (র্যান্টি-হ্যাটট্রিক, আসিফ, বিনিথ)
এয়ার ইন্ডিয়া-১ (মিকি) |
নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করতে তাঁর লাগল মাত্র চোদ্দো দিন। জামশেদপুরের কাদা প্যাচপ্যাচে মাঠ থেকে যুবভারতীর কৃত্রিম ঘাসে পা পড়তেই বেরিয়ে এল গোল-ক্ষুধার্ত র্যান্টি মার্টিন্সের আসল চেহারা! এ বারের আই লিগের প্রথম হ্যাটট্রিক করে বোঝালেন, মজিদ-চিমা-ব্যারেটোদের মতো তিনিও এসেছেন শহরবাসীর হৃদয় জিততে। ম্যাচের সেরাও প্রয়াগের এই বিদেশি। ম্যাচের পর এয়ার ইন্ডিয়া কোচ গডফ্রে পেরিরা বললেন, “র্যান্টির কাছেই হেরে গেলাম।”
নিজে তিনটে গোল করলেন। র্যান্টির পাস থেকেই গোল আসিফের। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দলকে নিজের কাঁধে তুলে উজ্জ্বল কার্লোস হার্নান্ডেজও। যুবভারতীতে সেই র্যান্টি-কার্লোস ঝড়েই ‘ক্র্যাশ’ করল এয়ার ইন্ডিয়া-র উড়ান। হাই ভোল্টেজ হাসি কোচ সঞ্জয় সেনের মুখে। ‘ফিল গুড’ পরিবেশ প্রয়াগের ড্রেসিংরুমে।
|
তৃপ্ত। হ্যাটট্রিকের ম্যাচ খেলে র্যান্টি। রবিবার। ছবি: উৎপল সরকার |
এয়ার ইন্ডিয়া ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন। ফেড কাপে তাদের ১০ জনের দল হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। মুম্বইয়ের দলের বিরুদ্ধে আক্রমণে র্যান্টির সঙ্গে রফিককে রেখেছিলেন প্রয়াগ কোচ। ৪-৪-২ ছকে পাসার কার্লোস। শুরু থেকেই জন ডায়াস-রমনদীপদের রক্ষণে হুল ফোটানো শুরু রফিকদের। গোড়ার দিকে র্যান্টির শট ক্রসপিসে লেগে ফিরতেই গোল করার তাগিদ যেন আরও বেড়ে যায় দীপক মণ্ডলদের। এর কিছু পরেই গোলের খাতা খোলা শুরু। তুলুঙ্গার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল র্যান্টির। কুড়ি মিনিটের মাথায় নিজেদের রক্ষণে হেনরির পা থেকে বল কাড়তে গিয়ে বেলো রজাক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পরের মুহূর্তেই মিকি ফার্নান্ডেজের সরাসরি ফ্রিকিক থেকে গোল শোধ।
প্রয়াগ দশ জন হওয়ার পর মুহূর্তেই মাস্টারস্ট্রোক সঞ্জয়ের। ফরোয়ার্ড রফিককে তুলে নামালেন স্টপার অনুপমকে। দীপক, তুলুঙ্গাকে পাশে নিয়ে বিপক্ষকে নিজেদের রক্ষণে টেনে আনার টোপ দিতে শুরু করলেন কার্লোস। তার পর হঠাৎ সুইচ ওভার করে ‘বিহাইন্ড দ্য ডিফেন্স’ বল ফেলার কৌশল। আর তাতেই কিস্তিুমাত। ৭০ মিনিট দশ জনে খেলেও। র্যান্টির দ্বিতীয় গোল তারই ফসল। আর ২-১ হতেই যুবভারতীর ‘রেডার’ থেকে হাওয়া বিমানকর্মীদের উদ্যম। কার্লোসের সঙ্গে ওয়াল খেলে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে র্যান্টির হ্যাটট্রিকের গোলই দিনের সেরা। ম্যাচের শেষ লগ্নে কার্লোসের পাস থেকে দলের পঞ্চম গোল বিনিথের। তবে একটা খচখচানিটা থাকছেই! শুক্রবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডিফেন্সে নেই বেলো। দীপকরা অবশ্য বলছেন, “দলগত ফুটবলই আমাদের ভরসা।”
|
প্রয়াগ ইউনাইটেড: সংগ্রাম, দীপক, বেলো, ধনচন্দ্র, সুখেন, আসিফ (লালকমল), তুলুঙ্গা, বিনীথ (লেস্টার), কার্লোস, রফিক (অনুপম), র্যান্টি। |
সোমবার |
আই লিগে
পুণে এফসি-ওএনজিসি (পুণে)। |
কলকাতা লিগে
মহামেডান-পুলিশ এসি
(যুবভারতী, ২-৩০)। |
|