কাইজারের সঙ্গেও তুলনা শুরু রোনাল্ডোর |
মেসি-ম্যাজিকও ম্লান হয়ে যাবে কি সি আর সেভেন-এর বোমাবর্ষণের সামনে? ‘এল ক্লাসিকো’ শুরুর ঘণ্টা কয়েক আগেও যা ছিল ন্যু কাম্পের আনাচে-কানাচের প্রশ্ন। ‘এল ক্লাসিকো’র আগেই লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ দু’টো ম্যাচে রোনাল্ডোর দু’-দুটো হ্যাটট্রিকই এই মহাপ্রশ্নের উৎস। ওই দুটো হ্যাটট্রিকের দৌলতে পর্তুগিজ মহাতারকা রিয়ালের জার্সিতে সর্বকালীন টপস্কোরারদের তালিকায় প্রথম দশের ভেতর উঠে এসেছেন। ২০০৯ থেকে চার মরসুমের মধ্যেই ১৫৮ গোল করে রিয়ালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় রোনাল্ডো এখন ৯ নম্বরে। এক নম্বর রাউল (৩২৩) এবং দুইয়ে থাকা ডি’স্টিফানোর (৩০৮) গোল সংখ্যার চেয়ে পিছনে থাকলেও রোনাল্ডো সদ্য পিছনে ফেলে দিয়েছেন প্রাক্তন রিয়াল অধিনায়ক আমারোকে। ১৯৬২ থেকে ’৭৬, চোদ্দো বছরে রিয়ালের এই রাইট উইঙ্গার ১৫৫ গোল করেছিলেন। “রোনাল্ডোর মতো এক জন রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলারের পিছনে পড়ে গেলাম জানতে পেরে আমি বরং খুশিই হয়েছি,” বলেছেন আমারো। ‘এল ক্লাসিকো’র ঠিক আগেই রোনাল্ডোর এই কীর্তি তাঁকে তো বটেই, পাশাপাশি গোটা রিয়াল দলকেই বাড়তি তাতিয়ে রাখবে বলে মনে করছেন আমারো। “এল ক্লাসিকো হল সেই ম্যাচ যেখানে যে কোনও কিছু ঘটতে পারে। কেউ বলতে পারবে না ম্যাচর ফল কী হবে? কারা জিতবে? ফেভারিট বলে কেউ নেই। কিন্তু রোনাল্ডো যে ভাল করবে সেটা বলতে পারি। এত দুর্ধর্ষ ফর্মে কোনও ফুটবলার যখন থাকে, সে তখন সব ম্যাচেই ভাল খেলে,” বলেছেন আমারো।
বাহাত্তর বছর বয়সি প্রাক্তন রিয়াল তারকা মনে করেন, রবিবারের রাতের পরেও লা লিগার মীমাংসা হয়ে যাচ্ছে না। “রিয়াল ১১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লেও লা লিগায় আমাদের ক্লাবের আশা শেষ হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। কারণ রোনাল্ডোর ফর্ম। বাকি সব ম্যাচ ও একাই জিতিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আবার বার্সেলোনা যে কোনও দিন আটকে যেতে পারে ওদের ম্যাচে।” রোনাল্ডোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমারো-র আরও মন্তব্য, “রোনাল্ডো ঠিক সেন্টার ফরোয়ার্ড নয়। একশো ভাগ স্ট্রাইকারও নয়। তা সত্ত্বেও টিমের গোলমেশিন। এটাই ওর বাড়তি কৃতিত্ব। ও আসলে কমপ্লিট ফুটবলার। মাঝমাঠ থেকে ‘অপারেট’ করেও বলে-বলে গোল করতে পারে। প্রচুর গুণাবলী ওর ফুটবলে। শটে অবিশ্বাস্য জোর। দুটো পা-ই প্রচণ্ড শক্তিশালী। বল নিয়ে দৌড় অসম্ভব দ্রুত। আমার সময় এ রকম কমপ্লিট ফুটবলার ছিল ডি’স্টিফানো আর কাইজার বেকেনবাউয়ার।” |