‘পুণের টিম মিটিংয়ে সব সময় নিজেকে যোদ্ধা বলত’ |
মার্লন স্যামুয়েলস-কে ব্যাখ্যা করলেন তাঁর আইপিএল দলের ম্যানেজার দীপ দাশগুপ্ত |
যখন আত্মবিশ্বাসী: অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে উড়িয়ে দেওয়ার পর ফোন করেছিলাম স্যামুয়েলসকে। তখনই বলেছিল, “কাপটা আমরাই জিতছি। ডোন্ট ওরি ম্যান।”
আলটিমেট ওয়ারিয়র: এটা আমার কথা নয়। ও নিজেই বলে। পুণে ওয়ারিয়র্সের টিম মিটিংয়ে মার্লন বলত, “আমরা সবাই যোদ্ধা। ওয়ারিয়র। তোমরা বোঝার চেষ্টা করো, শব্দটার মানে কী। গর্বটা অনুভব করো।” রবিবার ও দেখাল কাকে বলে যোদ্ধা! মালিঙ্গাকে সব ব্যাটসম্যান ভয় পায়। ও কিন্তু পাল্টা মারের জন্য মালিঙ্গাকেই বাছল!
|
ইতিহাসের নোটবুকে: এ দিন প্রথম আট-দশটা বল ওকে ঝিমিয়ে থাকতে দেখে বিরক্ত লাগলেও মনে পড়ল, মার্লন স্লো র্স্টাটার। পুণেতে সব সময় বলত, আমাকে তিনে পাঠাও। আমার ক্রিজে জমতে একটু সময় লাগে। পরে ওকে যা করতে দেখলাম, তা ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসে ঢুকে পড়বে। কাপ ফাইনালে ৫৬ বলে ৭৮! তাও কী উইকেটে। আত্মবিশ্বাস কোন পর্যায়ে থাকলে ধুঁকতে থাকা ব্যাটিং অর্ডারকে একাই দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়! ম্যাচের সেরা এর পর আর কে হবে?
আপাদমস্তক টিমম্যান: একটা উদাহরণ দিই। ওর সঙ্গে সপ্তাহে একবার কথা হয়ই। মজা করে বলেছিলাম, তোমার তো দর এ বার আইপিএলে বেড়ে যাবে। অবাক করে দিয়ে বলল, “নো ম্যান। আমাদের পুণে টিমটা ভালই ছিল। গতবার হয়নি, কিন্তু সামনের বার হবে।” আইপিএলের এখনও ছ’মাস বাকি। ক’জন ভাবে এত তাড়াতাড়ি? এও বলেছিল, আমরা সবাই বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমটাকে বাঁধতে চেষ্টা করছি।
জীবনযুদ্ধেও জয়ী: মাঝেমাঝেই আমাকে মার্লন বলে, ওর হাতে আর চার-পাঁচ বছর পড়ে। যা করতে হবে, এর মধ্যেই। জীবনে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি ওকে। গড়াপেটা, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন, আইসিসি-র শাস্তি কেরিয়ারের তিন-চারটে বছর নষ্ট হয়েছে। আগে মানুষটাও অন্য রকম ছিল। কিন্তু গত এক বছরে অদ্ভুত পাল্টেছে। ওর ভেতরে একটা আগুন যেন দেখতাম। কলম্বোয় ও জীবনের ট্রফিটাও জিতে গেল। |