|
|
|
|
আজ বৈঠকে থাকবে এবিজি |
|
হলদিয়া নিয়ে ফের মাঠে
নামার ইঙ্গিত শুভেন্দুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও তমলুক |
|
সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ হলদিয়া বন্দর নিয়ে আসরে নেমে পড়েছেন। এই অবস্থায় তিনি যে চুপ করে বসে থাকবেন না, শুক্রবার সভা করে সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে লক্ষ্মণবাবুর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তথা তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। বন্দর কর্তৃপক্ষের ডাকা বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যাননি তিনি। এ দিন এক সভায় হলদিয়া প্রসঙ্গে তাঁর হুমকি, “৯ অক্টোবরের পরে আমিও মাঠে নামব।” জানিয়ে দিয়েছেন, হলদিয়ায় ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের জন্য তাঁর লড়াই চলবে। তমলুকের সাংসদের কথায়, “এঁরা তো অনেকেই সিপিএমের লোক। কিন্তু আমি চাই না কারও চাকরি যাক।”
হলদিয়া নিয়ে সমাধান সূত্র বের করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন বন্দর কর্তারা। তাঁদের অনুরোধ মেনে এবিজি শেষ পর্যন্ত ৯ সদস্যের কমিটিতে যোগ দিতে রাজি হয়েছে। আজ, শনিবারই কমিটির প্রথম বৈঠক হচ্ছে। বন্দরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব এবিজি এবং তাদের প্রতিযোগী সংস্থাকে দেওয়া হবে। বন্দর কর্তাদের আশা, বিবদমান দু’পক্ষ কিছুটা নরম হলেই সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে।
তবে হলদিয়া বন্দরের অবস্থার কোনও পরিবর্তন এখনও হয়নি। ২ এবং ৮ নম্বর বার্থে কোনও কাজ এ দিনও হয়নি। অন্যান্য বার্থে অবশ্য পণ্য ওঠানামা করেছে। বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তবে বন্দরের কাজকর্মের সঙ্গে জড়িতদের একাংশের দাবি, মন্দার কারণেই জাহাজের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এর সঙ্গে অশান্তির কোনও সর্ম্পক নেই। এর মধ্যেই এ দিন হলদিয়া বন্দরে অচলাবস্থার জন্য বন্দরের চেয়ারম্যান, শুভেন্দু অধিকারী এবং এবিজি-র প্রতিযোগী একটি বেসরকারি পণ্য খালাসকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস। শুক্রবার জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত পাল বলেন, “রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর গত দেড় বছরে হলদিয়া বন্দরে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা বন্দরের স্বার্থবিরোধী।” অচলাবস্থা কাটাতে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী জি কে ভাসানকে চিঠিও দিয়েছেন অসিতবাবুরা। |
|
|
|
|
|