|
|
|
|
ফের ট্রেনে হামলা পাহাড় লাইনে, উদ্বেগ হাফলঙে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
এক দিকে শান্তির দাবিতে নাগরিক মিছিল, অন্য দিকে ট্রেনে গুলি, শহরে গ্রেনেড উদ্ধার। এই ছিল ডিমা হাসাও জেলার আজকের দিনলিপি। ভোর চারটে নাগাদ আগরতলা এক্সপ্রেসে গুলি চললেও কেউ অবশ্য জখম হননি। তবে রেডিয়েটর ফেটে যাওয়ায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ওই অবস্থাতেই চালক লোয়ার হাফলং ও বাগেটারের মধ্যবর্তী স্থান থেকে যাত্রিবাহী ট্রেনটিকে নিয়ে আসেন জাটিঙ্গা স্টেশনে। সেখান থেকে ইঞ্জিন পাল্টে সেটি আগরতলা যায়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ থেকেই এই লাইনে রাত্রে কোনও যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো হবে না। কবে থেকে চালানো হবে, তা পরে জানানো হবে।
এর পর, ভোর সাড়ে পাঁচটায় হাফলং শহরে একটি গ্রেনেড মেলে। পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা সেটিকে নিস্ক্রিয় করে। কেউ অবশ্য এখনও ঘটনাগুলির দায় স্বীকার করেনি। পুলিশের কথায়, তদন্ত চলছে। কারা এ সবের পিছনে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ সুপার মুগ্ধজ্যোতি মহন্ত তাঁ সন্দেহ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন-আইএম এই এলাকায় সক্তিয় হয়ে উঠেছে। ছোট ছোট বিভিন্ন গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে তারা এই এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইছে।” তিনি জানান, এই কাজে নাগা জঙ্গিদেরই যে সব সময় ব্যবহার করা হচ্ছে তাও নয়।
এরই পাশাপাশি, ডিমা হাসাওয়ে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়ে আজ সকাল ন’টায় হাফলং শহরে একটি মিছিল সংগঠিত করে। ‘সিটিজেনস অব গ্রেটার হাফলং’-এর ব্যানারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ছ’-সাত হাজার মানুষ এতে অংশ নেন। শহর পরিক্রমা সেরে তাঁরা জেলাশাসক বরুণ ভুঁইয়ার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এক স্মারকলিপি পাঠান। এতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়।
সাত দিন বন্ধ-কার্ফুর পর কালই স্বাভাবিক হয়েছিল জেলার জীবনযাত্রা। এর মধ্যে আজকের ঘটনাক্রম সাধারণ মানুষকে ফের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। অনুমান করা হচ্ছে, ডিমা হাসাও টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল চুক্তিকে সামনে রেখেই আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন জানানো হয়েছে। সম্ভবত সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং ডিএইচডি-র দিলীপ নুনিসা গোষ্ঠী ও জুয়েল গারলোসা গোষ্ঠীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
জেলার অ-ডিমাসা উপজাতি সংগঠনগুলি টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের বিরোধী। তারা জোটবদ্ধ হয়ে আগে থেকেই আন্দোলন করছে। অন্য দিকে, বরাক উপত্যকারও বিভিন্ন সংগঠন জানিয়েছে, প্রস্তাবিত কাউন্সিলে তাদের কোনও গ্রাম অন্তর্ভুক্ত করা হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। |
|
|
|
|
|