প্রচণ্ড ঠান্ডা এক বলয়। এতটাই ঠান্ডা যে কার্বন ডাই অক্সাইডের স্তরও জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে সেখানে। অথচ এর নীচে মাটি গরমে পুড়ে যাওয়ার জোগাড়। না কোনও কল্পবিজ্ঞানের দৃশ্য নয়। গবেষণাগারে তৈরি করা কৃত্রিম আবহাওয়াও নয়। এ হল শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডল। সম্প্রতি শুক্র গ্রহ প্রদক্ষিণকারী মহাকাশযান ‘ভেনাস এক্সপ্রেস’-এর নজরে ধরা পড়ল শুক্রের বায়ুমণ্ডলের এই অদ্ভুত দৃশ্য।
দূরত্বে পৃথিবীর তুলনায় সূর্যের অনেক কাছে আছে শুক্র। তাই তার উষ্ণতাও পৃথিবীর থেকে বেশি। তা ছাড়া বায়ুমণ্ডলের ঘন কার্বন ডাই অক্সাইডের স্তর শুক্রের উষ্ণতা স্বাভাবিকের থেকে আরও অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। তা সত্ত্বেও সেখানকার বায়ুমণ্ডলে ওই অদ্ভুত শীতল স্তরের উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের।
গত পাঁচ বছর ধরে ভেনাস এক্সপ্রেসের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে শুক্র গ্রহের ওপর গবেষণা চালাচ্ছেন ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা। শুক্রের পৃষ্ঠ থেকে ১২৫ কিলোমিটার ওপরে এমন একটি স্তরের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা, যার উষ্ণতা শূন্যের থেকেও ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। যা পৃথিবীপৃষ্ঠের সব চেয়ে কম উষ্ণতার থেকেও বেশ কম। সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরার সময়ে প্রতি ২৪৩ দিন (পৃথিবীর হিসেবে) অন্তর শুক্র গ্রহে দিন-রাতের বদল হয়। এই দিন রাতের সন্ধিক্ষণে শুক্রের বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসে সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণ বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা।
গবেষক দলের প্রধান আরনৌড মাহিয়াক্স বলেন, “ভেনাস এক্সপ্রেস মাঝেমধ্যেই শুক্রে কিছু উজ্জ্বল অঞ্চলের খোঁজ পায় যা বরফ বলে ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু এগুলি বায়ুমণ্ডলে কিছু পরিবর্তনের কারণেও ঘটতে পারে। তাই কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে সতর্ক হতে হবে আমাদের।” এ ব্যপারে আরও নিশ্চিত হতে তাঁরা বায়ুমণ্ডলের অন্যান্য গ্যাস, যেমন- কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন, অক্সিজেনের ওপরও গবেষণা চালাচ্ছেন।
|
ব্ল্যাকহোল জানতে
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
গবেষণাগারে ব্ল্যাকহোল! এর জন্য এডিনবরার বিজ্ঞানীরা ১ লক্ষ কোটি ওয়াটের লেজার তরঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করছেন। খরচ পড়বে সাড়ে ২৩ লক্ষ পাউন্ড।
|