|
|
|
|
অভিযোগ বিশ্বভারতীতে |
রুমমেটের ছুরির ঘায়ে জখম আবাসিক ছাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
বিশ্বভারতীর এক আবাসিক ছাত্রীর দেহে ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠল তাঁরই রুমমেটের বিরুদ্ধে। রবিবারের ওই ঘটনায় জখম ছাত্রীর পরিবার শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।” অভিযুক্ত ছাত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করার মামলা রুজু করেছে।
বিশ্বভারতীর ছাত্র পরিচালক শমিত রায় বলেন, “কলাভবনের উপাধ্যক্ষকে গোটা বিষয়টিই লিখিত ভাবে জানাতে বলেছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপাচার্যের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রবিবারই প্রাথমিক চিকিৎসা করে কলকাতার বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন ভাস্কর্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। কিন্তু কেন এই হামলা, তা স্পষ্ট হয়নি। |
|
জখম ছাত্রী আত্রেয়ী। —নিজস্ব চিত্র। |
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, শ্রীসদন গার্লস হস্টেলের দোতলার কলাভবন ব্লকের একটি ঘর বরাদ্দ জখম ছাত্রী আত্রেয়ী ভট্টাচার্য ও চিত্রকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষেরই অভিযুক্ত ছাত্রীটির নামে। যদিও হস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্রেয়ী ওই ঘরে থাকলেও অভিযুক্ত ছাত্রী সেখানে নিজের কিছু জিনিসপত্র রেখে অন্য ঘরে থাকেন। আত্রেয়ী বলেন, “এ দিন ভোরে ও (অভিযুক্ত ছাত্রী) দরজায় ধাক্কা দিলে আমি খুলে দিই। কিছু জিনিস নিয়ে তখনকার মতো সে চলে যায়। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার দরজায় ধাক্কা দেয়।” তাঁর অভিযোগ, “ও প্রায়ই আমাকে এ ভাবে বিরক্ত করত। এ বার দরজা খুলতেই ও আচমকা আমাকে বিছানার দিকে ঠেলে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে শুরু করে। গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করতেই আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে থার্মোকল কাটার ছুরি চালাতে শুরু করে। পাশেই ওয়ার্ডেন ও অন্য সহপাঠীদের ঘর থাকলেও আমার চিৎকারে কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।” পরে তিনি এক বন্ধুর সাহায্যে বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিজের চিকিৎসা করান।
খবর পেয়ে এ দিনই শ্রীসদনে ছুটে আসেন কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা এলাকার বাসিন্দা, আত্রেয়ীর বাবা রঞ্জন ভট্টাচার্য ও মা বিদিশাদেবী। পরে তাঁরা শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে অভিযোগ জানান। ঘটনার খবর পেয়ে জখম ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কলাভবনের অধ্যক্ষ অশোক ভৌমিক, উপাধ্যক্ষ ঋষি বড়ুয়া ও ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান সুতনু চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা ছাত্রীর বাবা-মার সঙ্গেও আলোচনায় বসেন। বিদিশাদেবীর কথায়, “এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। তাই আপাতত মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।”
অভিযুক্ত ছাত্রীর সঙ্গে এ দিন কথা বলতে দেননি শ্রীসদন গার্লস হস্টেল কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|