কৈশোর থেকেই হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে স্কুলে-স্কুলে শারীরিক পরীক্ষা ও সচেতনতা অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ‘কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া’ (সিএসআই)-র পশ্চিমবঙ্গ শাখা। শনিবার বিশ্ব হৃদয় দিবসে সংগঠনের তরফে এই কথা ঘোষণা করা হল। পাইলট প্রকল্প হিসাবে কলকাতার এক সরকারি কোএডুকেশন স্কুল (ছাত্রছাত্রীরা মূলত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের) এবং একটি বেসরকারি কো-এডুকেশন স্কুলে (যেখানে উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়ে) প্রকল্পটি শুরু হচ্ছে।
সিএসআই-এর সাম্মানিক সচিব চিকিৎসক সৌমিত্র কুমার জানিয়েছেন, কলকাতার দু’টি স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নিখরচায় শারীরিক পরীক্ষা করবেন সংগঠনের চিকিৎসকেরা। যে সব ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যতে হৃদরোগ হতে পারে বলে মনে হবে তাদের কাউন্সেলিং, ডায়েট ও ব্যায়াম ঠিক করে দেওয়া হবে।
অল্প বয়সেই উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং তার ৩৫-৪০ বছরের মধ্যেই হৃদরোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতি বছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ভারতের মানুষই সবচেয়ে বেশি। ২০১৫-র মধ্যে এই রোগ প্রায় মহামারির আকার নেবে বলে আশঙ্কা। ‘হু’-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে ভারতে প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ মারা যান। এর মধ্যে প্রায় ১৬-২০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর রিপোর্টও বলছে, ভারতে প্রতি বছর বিভিন্ন রোগে মৃতদের প্রায় ৬৩ শতাংশের মৃত্যু হয় হৃদরোগে। |