বেঙ্গালুরুতে আট বছর আগে শেষ ফেড কাপ জিতেছিল ডেম্পো। সেই ম্যাচেই খেলতে খেলতে মাঠেই মর্মান্তিক মৃত্যু জুনিয়রের! তারপর গোয়ার ক্লাব ফাইনালে উঠলেও কাপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে রবিবারের ফাইনালে নামার আগে টিমকে জুনিয়রের স্মৃতিচারণ করেই তাতানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন আর্মান্দো কোলাসো।
ডেম্পো কোচ বললেন, “যত বার ফেড কাপ খেলতে যাই জুনিয়রের কথা মনে পড়ে। আমার বাড়িতে ওর ছবি আছে। ওর স্ত্রীর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে কাপটা আমরা উৎসর্গ করব আমাদের প্রিয় জুনিয়রকেই।” জুনিয়রের সঙ্গে শেষ বারের চ্যাম্পিয়ন টিমে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে সমীর নায়েক, জোয়াকিম আব্রাঞ্চেজ, ক্লিফোর্ড মিরান্ডা, অ্যান্টনি পেরিরার মতো কয়েকজন এ বারের দলেও রয়েছেন। সেমিফাইনালে দুর্দান্ত গোল করা জোয়াকিম বলছিলেন, “বারবার আই লিগ জিতি। কিন্তু ফেড কাপে কী যে হয়! ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারি না। এ বার আমরা ঠিক করেছি জুনিয়রের জন্য খেলব।” পাশে দাঁড়িয়ে সমীর-ক্লিফোর্ডরাও একযোগে বললেন, “আমাদের টিম খুব ভাল জায়গায় আছে। ফাইনালে আমরা মাঠে নামব জুনিয়রের কথা মনে রেখেই। জিতে ওর স্মৃতিতেই কাপ উৎসর্গ করব।” |
এ দিকে, ডেভিড ব্যাকহ্যাম-সহ লস অ্যাঞ্জেলিস গ্যালাক্সি-র সঙ্গে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হল ডেম্পোকে। আর্মান্দোকে শনিবার মুম্বইয়ের এক এজেন্ট ফোন করেন, ম্যাচটি খেলার অনুরোধ জানিয়ে। ৭ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে খেলতে পারেন বেকহ্যাম। ডেম্পো কোচ বললেন, “আমরা খেলব। ফেডারেশন নিশ্চয়ই অনুমতি দেবে। আমাকে ওরা ফোন করেছিল। বলল স্পনসরের খোঁজ করছে। ম্যাচটা মনে হয় হবে।” অন্য দিকে, ফেড কাপ ফাইনালে কার্ড সমস্যায় আটকে যাওয়া ওপারা ও গুরবিন্দরকে রবিবার খেলতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ফেডারেশনকে চিঠি দিল ইস্টবেঙ্গল। টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান অনিল কামাথ এ রকম চিঠি পেয়ে অবশ্য হতবাক। বললেন, “ইস্টবেঙ্গল লিখেছে, বিশ্বকাপে নাকি একবার সেমিফাইনালে কার্ড দেখা ফুটবলারকে ফাইনালে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল!” |