শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপ ফাইনালের আগের সকালে যাঁরা ম্যাচ প্রিভিউ লিখতে গিয়েছিলেন এবং যে সাংবাদিকেরা ১৮৭৩ সালে স্থাপিত কলম্বো কোল্স ক্লাবের মাঠে শনিবার দুপুরে ধোনিদের প্র্যাক্টিস দেখতে গেলেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা হল একই রকম। দু’দলই ফিরলেন ফুটবল অনুশীলন দেখে।
হ্যাঁ, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে টিম ইন্ডিয়ার কেউ কেউ যদি ঐচ্ছিক ব্যাটিং অনুশীলনে পনেরো মিনিটও দিয়ে থাকেন, গোটা টিম ফুটবল খেলল এক ঘণ্টা। যা ভারত-পাক ম্যাচ প্রিভিউ ইতিহাসে অভূতপূর্ব। অপেক্ষমান সাংবাদিকরা ততক্ষণে রীতিমতো আশ্চর্য। পরিচিত পাকিস্তানি সাংবাদিকদের মোবাইলে ফোন আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইন্ডিয়া নাকি আজ স্রেফ ফুটবল প্র্যাক্টিস করছে?
রাতে টিমের পক্ষে এক জন জানালেন, আইডিয়াটা কোচ ডানকান ফ্লেচারের। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে ফুটবল এই জন্য যে
এক) শারীরিক ক্ষিপ্রতা অনেক বাড়ায়। যেটা গত ক’দিনের ভারতীয় ক্রিকেটে অনুপস্থিত।
দুই) একটা পোড়ো ম্যাচের দগদগে ঘা থেকে মনকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
হঠাৎ করে এক ঘণ্টা ফুটবল খেলা নিয়ে যাঁরা হতবাক হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা জানেন না ফুটবল শুরুর আগে তার চেয়েও বিচিত্র ঘটনা অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। টিম যখন হাড্ল করছিল, কোচ ছেলেদের উদ্দেশ করে বলেন, “শপথ নাও কেউ নিজের জন্য খেলবে না। সবাই দেশের জন্য খেলবে।” কারও কারও মনে হয়েছে এর লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে মন্থর ব্যাটিং করা ইরফান পাঠান (৩০ বলে ৩১) এবং যুবরাজ সিংহ (১০ বলে ৮)। শুধু ভারতীয় শিবির কেন, আম বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ অনুযায়ীও খেলাটা ঝুলে যায় পাঁচ থেকে দশ ওভারের মধ্যে, যখন এঁরা দু’জন একসঙ্গে ব্যাট করছিলেন। যুবরাজ সিংহ ওয়ার্ম আপ ম্যাচ থেকে শুরু করে গত কালের অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ পর্যন্ত রান করেছেন মাত্র ৪২। স্ট্রাইক রেট ৮০। স্রেফ আবেগের কথা ভেবে তাঁকে কেন খেলিয়ে যাওয়া হবে এই প্রশ্ন এখন চার ধার থেকে ক্রমাগত উঠছে। টিম ম্যানেজমেন্টের তিন সদস্যের এক জন শনিবার ধোনিকে বলেছেন, কেন আমরা মনোজ তিওয়ারির কথা ভাবছি না? কেন যুবির জায়গায় আমরা ওকে খেলাব না? মনোজ তো বলটাও করতে পারে। |
ধোনি কি সেই যুক্তিতে প্রভাবিত হয়েছেন? শনিবার রাতে খেলার সম্ভাবনা সম্পর্কে মনোজকে জিজ্ঞেস করে মনে হল তিনি আকাশ থেকে পড়েছেন। ‘তৈরি থাকো’ এই কথাটাও যখন ম্যাচের আগের রাতে কেউ বলেনি, তার মানে অধিনায়ক আইডিয়াটা নেননি। যুবরাজ অবশ্যই শুনেছেন তাঁর দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে। আর তাই বোধহয় ঐচ্ছিক ব্যাটিং অনুশীলনে যাওয়া চার-পাঁচ জনের মধ্যে নিজে প্রথম গেলেন। আর নিজের হতাশা উগরে দিলেন ৬০-৭০ মিটারের বড় বড় হিটে। নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে শুনলাম তিনি ক্ষুব্ধ। এক সিনিয়র ব্যাটসম্যান তো ইংল্যান্ড ম্যাচের দিন পরে নামানো হয়েছিল বলে উত্তেজিত হয়ে ডাগআউট থেকে নিজের হেলমেট ছুড়ে দেন। সেই হেলমেট ভেঙেও যায়। দলের সঙ্গে অপ্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত কারও কারও মনে হচ্ছে, এখনও যে মারপিট হয়নি তা শুভ লক্ষণ।
ধোনির সংসারে যে পরিপূর্ণ শান্তি বিরাজ করছে না, টুকরোটাকরা ঘটনাগুলোই তার প্রমাণ। বীরেন্দ্র সহবাগ আর এক জন। তাঁকে বসানো নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে যে ঠিক ম্যাডক্স স্কোয়্যার পুজোমণ্ডপের পরিবেশ তৈরি হয়নি, সেটা এক ঝলক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। সহবাগ নেটে এ দিন ব্যাট না করায় তাঁকে নিয়ে সংশয় আরও বেড়ে যায়। তা হলে কি তাঁর এখনও চোট আছে? নাকি ব্যাট না করতে চেয়ে এটা তাঁর প্রতীকী প্রতিবাদ? এমনও আবার শোনা গেল যে নেটে তিনি ব্যাট চেয়ে
প্রথম পাতার পর পাননি। যেটা সত্যিই বিশ্বাস করা শক্ত। এরই মধ্যে সকালে আর এক বিতর্ক তৈরি হয় সুরেশ রায়না বিবিসি-কে বিতর্কিত ইন্টারভিউ দেওয়ায়। ইন্টারভিউতে রায়না বলেছেন, টিমের ভালর জন্য সহবাগের সুপার এইটের বাকি দু’টো ম্যাচ খেলা অবশ্যই প্রয়োজন। দ্রুত জল্পনা শুরু হয়ে যায়, এই মন্তব্য তো টিমের লাইনের বাইরে গিয়ে করা। সহবাগ যদি এত অপরিহার্যই হন, তা হলে ধোনি আগের দিন তাঁকে বসালেন কেন? গোটা প্র্যাক্টিস জুড়ে তাঁর এবং ধোনির পারস্পরিক শরীরী ভাষা নিয়ে প্রচুর জল্পনা চলল। সহবাগ যে আগের দিন বাদ পড়ে অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন, সেটা এখন কলম্বোর সবচেয়ে ওপেন সিক্রেট। কিন্তু এ দিন দৃশ্যত কোনও অসন্তোষ দেখাননি। সহবাগ আর ধোনি যখন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, ব্যাকগ্রাউন্ডে আইটেম নম্বর বাজছে ‘আনারকলি ডিস্কো চলি’। আজ আর কিশোরের কোনও দুঃখের গান নয়। ভারতীয় প্র্যাক্টিস জুড়ে শুধুই আইটেম নম্বর। বোঝা গেল ‘কৃত্রিম’ শ্বাসপ্রশ্বাসের যাবতীয় উপকরণ, তা ফুটবল হোক বা আইটেম নম্বর, সব কিছু দিয়ে পাক ম্যাচের আগে দলকে সুস্থ করার কাজ চলছে।
ও দিকে পাকিস্তান কৃত্রিম নয়, স্বাভাবিক ভাবেই যেন নিজের হার্টকে সুস্থ রাখছে। ভারতের সঙ্গে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ অকল্পনীয় ভাবে জিতে যাওয়া। তার পর শুক্রবারের জয়। দু’টোর মিলিত পারফিউম মেখে তাদের শনিবার দুপুরে বেশ খুশি খুশি দেখাল। জাকা আশরফ হলেন পাকিস্তান বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। তিনি এ দিন দুপুর ২টোয় টিম লাঞ্চ দিলেন। সেখানে ক্রিকেটারদের বললেন, “এই ম্যাচটা কিন্তু জিততে হবে। না পারার কোনও কারণ নেই।” তাঁর বিপক্ষের সেনাপতি এন শ্রীনিবাসন? শুনলাম তিনিও এসে পড়ছেন ম্যাচের আগে। নামেই আসলে সুপার এইটের ম্যাচ। দু’দেশের কাছে গুরুত্বে অপরিসীম। আবহ দেখে মনে হচ্ছে কলম্বো যেন একই সঙ্গে দুটো গোলার্ধে। একটা গোলার্ধ যেখানে খটখটে দিনের আলোর মতো ম্যাচ নিয়ে প্রবল উত্তেজনা। আর একটা গোলার্ধে রাতের অন্ধকারের ঔদাসীন্য।
পৃথিবীর কোথায় ভারত-পাক ম্যাচ হলে স্থানীয় জনসাধারণের উত্তেজনা মোটেও টগবগ করে না?
কোনও স্পোর্টস কুইজে প্রতিযোগী হয়ে এমন প্রশ্নের সামনে পড়লে ভুলেও আমেরিকা বা ক্রিকেট খেলা হয় না, এমন কোনও দেশের নাম করতে যাবেন না যেন! যেখানে ক্রিকেট নেই, সেখানেও ভারতীয় আছেন প্রচুর সংখ্যায়। এবং তাঁরা যদি থাকেন, তা হলে এই ম্যাচ নিয়ে তাঁদের উপচে পড়া আগ্রহ থাকবেই।
এ ক্ষেত্রে উত্তরটা হল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে দেশে ভারতীয় আর পাকিস্তানিরা প্রচুর সংখ্যায় আছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও কাঁটাতার নেই। কোনও দেশ বিভাগের ক্ষতও নেই। সবচেয়ে পরে জাহাজে করে যে দলটা দক্ষিণ আফ্রিকা এসেছিল, তারা ঘাঁটি গাড়ে সেই ১৮৬০ সালে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকান ভারতীয় বা পাকিস্তানিদের মধ্যে এই ম্যাচটা রক্ত গরম করে না। তারা বরং অনেক উদ্দীপ্ত হয় যখন সাদা চামড়ার টিমের সঙ্গে খেলে। ওটাই তাদের আসল যুদ্ধ।
শ্রীলঙ্কাতে এই চামড়ার রঙের পরিপ্রেক্ষিতটা নেই। কিন্তু স্থানীয় অনুত্তেজনার দিক দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ঠিক পরে থাকবে। ভারত-পাক ওয়ার্ম আপ ম্যাচে বিনে পয়সায় গেট খুলে দিয়েও মাঠ অর্ধেক ভর্তি করা যায়নি। রোববার? আইসিসি-র এক কর্ত্রী রাতে আনন্দবাজারকে জানালেন, ম্যাচ সোল্ড আউট। প্রচুর লোক এসেছে দু’দেশ থেকে। কিন্তু স্রেফ পর্যটকে প্রেমদাসা ভর্তি হয়ে যাবে? আইসিসি কর্ত্রী সংশয়কে পাত্তাই দিলেন না। “সুপার সানডে হিসেবে স্থানীয় মানুষ ম্যাচটা দেখছে। একই টিকিটে প্রথমে সাউথ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া। তার পর ইন্ডিয়া-পাকিস্তান।” এমন অকাট্য যুক্তি আর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তর্ক করার মানে হয় না। স্থানীয় ক্রিকেট উৎসাহী অবশ্য বললেন, “যা বলছে বলতে দিন। আইসিসি ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখুন না। কিছু টিকিট এখনও পড়ে রয়েছে।”
কলম্বো শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত যদি কেউ অটো চড়ে শনিবার ঘুরতেন। ওহো, অটো তো নয়, এখানে বলে টুকটুক। তা হলে টুকটুকে চেপে দেখতে পেতেন, রঙিন সব বুলেভার্ডে, রাস্তার ধারের পোস্টে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচার আর বড় বড় ফ্ল্যাগ যত আছে, এই ম্যাচটা নিয়ে বিশেষ কোনও প্রচার নেই। সোজা কথায়, সমুদ্রের ধারের হাওয়ায় ভারত-পাক বায়ুতে অনিবার্য ভাবে নিঃশ্বাস নিতে হচ্ছে না। যা এই ম্যাচকে ঘিরে বরাবর ভেন্যু শহরে হয়েই থাকে।
সুপার এইটের এই ম্যাচ ঘিরে পুরনো উত্তেজনা যদি কেউ দেখতে চান বা বাতাসে পুরনো সেই গন্ধ শুঁকতে চান, তাঁকে আসতে হবে দু’টো টিম হোটেলে। আধ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে দু’টো হোটেল। তাজ সমুদ্র যদি পার্ক স্ট্রিটে হয়, সিনেমন গ্র্যান্ড তা হলে গ্র্যান্ড হোটেল। |
অ্যাদ্দিন দুটো হোটেলের পরিবেশ যা ছিল, ছিল। কাল রাত্তির থেকে সম্পূর্ণ ভোলবদল! শুক্রবার রাত্তিরে ভারতীয় দল ওই রকম জঘন্য খেলে টিম হোটেলে ঢোকার মুখে একটা আশ্চর্য দৃশ্য দেখলাম। রাশি রাশি ভারত সমর্থক ওই রাত্তির সওয়া বারোটাতেও টিমবাসের জন্য ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঢোকামাত্র গালাগাল দেওয়ার পরিবর্তে ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়। “আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। পাকিস্তান ম্যাচ জেতার পর স্বাগত জানাব।” এঁরা সব ভারত থেকে ম্যাচ দেখতে আসা মানুষ। কিন্তু হেরো দলের সঙ্গে এত মিষ্টি ব্যবহার দেখে ধোনিরাই আশ্চর্য।
আর কিছুটা বিরক্ত ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে তাঁদের যে বাড়তি নিরাপত্তার অনুশাসনে বেঁধে ফেলা হয়েছে, তা নিয়ে। দু’টো হোটেলেই এক ছবি। অনুরাগীদের সঙ্গে একেবারে মেশা চলবে না। কাউকে রুম নম্বর বলা যাবে না। কাল ম্যাচ পর্যন্ত রুমে ফোন নেওয়া যাবে না। এমনকী একই হোটেলে থেকেও ক্রিকেটাররা কারও ফোন নিতে চাইলে বা করতে চাইলে অপারেটরকে বিশদ জানাতে হবে। সুন্দরী মহিলারা একসঙ্গে মোবাইলে ছবিটবি তোলার পর যে বাড়তি দু’চারটে কথাবার্তা বিনিময় (বীণা মালিকের ভাষায়, “মরদ ক্রিকেটার মাত্রেই করে থাকে।”), সে সব এই গ্রহ থেকে আপাতত লোপ পেয়ে গিয়েছে। অশোক দিন্দা বলছিলেন, “কী দরকার বাবা অচেনা লোকজনের সঙ্গে ছবি তোলার।” যেহেতু আইসিসি বারবার সতর্ক করছে, সুন্দরী মহিলাদের বুকিরা টোপ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে। বিশেষ করে দৃষ্টি আকর্ষণকারী উত্তেজক পোশাকে থাকা মেয়েদের। ভারত-পাক ম্যাচের আগে এই প্রথম সুন্দরীদের গভীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও বয়কট করেছে দু’দল।
টুর্নামেন্টের গুরুত্ব বিচারে কাল সন্ধের ম্যাচটা কোনও ভাবেই সুপার এইটের আর পাঁচটা খেলার চেয়ে বেশি মাহাত্ম্যপূর্ণ নয়। কিন্তু আইসিসি-র কাছে এটাই ফাইনালের চেয়ে বড় ফাইনাল। ভারত যেমন স্ট্র্যাটেজি করছে সহবাগকে টিমে ফিরিয়ে পীযুষ চাওলাকে বাদ দেওয়ার মতো আর কী পরিবর্তন করা যায়। পাকিস্তান যেমন ভাবছে উত্তুঙ্গ এই দলটার মধ্যে শাহিদ আফ্রিদিকে কী করে আরও কার্যকরী করা যায়। তেমনই আইসিসি ভাবছে ক্রিকেট-বেটিং সাম্রাজ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ম্যাচের আগে কী করে ক্রিকেটারদের প্রলোভন থেকে রক্ষা করা যায়।
শ্রীলঙ্কায় বসে কোটি কোটি টাকার ক্রিকেট বেটিং হয় না। যা হয় দুবাই, করাচি বা মুম্বইয়ে। দুবাই যদি হয় জুয়াড়িদের লন্ডন, করাচি যদি হয় নিউ ইয়র্ক, আর মুম্বই যদি হয় প্যারিস, তা হলে কলম্বো যেন মন্টে কার্লো। বুকিদের নির্ভাবনায় বিচরণের স্বর্গ। সেই দেশ, যেখানে রোজগার আছে, কর নেই। বেটিংয়ের বেশির ভাগ অফার এবং কাহিনিরই কলম্বো থেকে উৎপত্তি। তাই কলম্বোয় ভারত-পাক ঘিরে আইসিসি-র এত তটস্থ ভাব। গত পরশু এক অপরিচিত ব্যক্তি অস্ট্রেলীয় টিম ফ্লোরে গিয়ে ক্রিকেটারদের ঘরে নক করতে থাকায় টিম দ্রুত অভিযোগ জানায় পুলিশের কাছে। লোকটিকে গ্রেফতার করে শুক্রবার কলম্বো আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনা আইসিসি-র তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে।
রবিবার সন্ধের প্রতিদ্বন্দ্বী দুটো দলের একটাও আপাতদৃষ্টিতে চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার নয়। ভারতই যেমন। যদি জেতেও, সামনে পড়বে ভয়ঙ্কর দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু তাতে কী? ওই যে কথায় আছে না, যত দিন চন্দ্র-সূর্য থাকবে তত দিন ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচও থাকবে।
|