আর ছোটদের জন্য নয়। জে কে রোওলিং জানিয়েছিলেন এ বার লিখবেন বড়দের জন্য। তাঁর লেখা সেই বড়দের বই ‘ক্যাজুয়াল ভ্যাকেন্সি’ প্রকাশিত হল ২৭ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় তুলেছে বইটি। আর আজ তার জবাব দিতে মুখ খুললেন লেখিকা নিজেই।
‘ক্যাজুয়াল ভ্যাকেন্সি’র গল্পটি পশ্চিম ইংল্যান্ডের প্যাগফোর্ড নামের একটি শহরে বসবাসকারী একটি শিখ পরিবারকে নিয়ে। আর যত বিপত্তি এখানেই। শিখদের নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য, বিশেষ করে ওই শিখ পরিবারের এক সদস্য, কলেজের ছাত্রী সুখবিন্দরের শারীরিক গঠনের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতেই চটেছে ভারতের শিখ সম্প্রদায়। তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংগঠন অকাল তখত বইটির সমালোচনায় মুখর হয়েছে। তাদের প্রতিনিধি শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি)-এর প্রধান অবতার সিংহ মক্কড় দাবি জানিয়েছেন, অন্তত ভারতে যে বইগুলি বিক্রি হবে সেগুলি থেকে আপত্তিকর অংশগুলি বাদ দিতে হবে। নইলে আইনের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
তবে লেখিকা রোওলিংয়ের দাবি, শিখদের সম্পর্কে না জেনেশুনে একটা বর্ণও লেখেননি তিনি। বরং রীতিমতো পড়াশোনা করেই যা লেখার লিখেছেন। ৪৭ বছরের রোওলিং জানান, তাঁর বয়স যখন কুড়ির কোঠায়, তখন এক শিখ বান্ধবী ছিল তাঁর। সেই বান্ধবীর কাছ থেকেই প্রথম জানতে পারেন শিখ ধর্ম সম্পর্কে। জানতে পারেন, এই ধর্মে নারী-পুরুষের মধ্যে কোনও রকম ভেদাভেদ করা হয় না। সেই সময় থেকেই এই ধর্ম নিয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে তাঁর। আর তাই শিখ ধর্ম নিয়ে অনেক পড়াশোনাও করেছেন। যার ফলেই প্রতিটি চরিত্র গভীর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।
প্যাগফোর্ড শহরে জওয়ানদাসের পরিবারই এই উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দু। বাবা-মা আর তাঁদের তিন সন্তানকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে গোটা গল্পটি। রোওলিংয়ের কথায়, “জওয়ানদাসের পরিবার যে কোনও মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই। সেখানে বাবা-মা দু’জনেই যথেষ্ট সফল। তিনটি বাচ্চাও খুব সুন্দর। তবুও ওই পরিবারে নানা সমস্যা তৈরি হয়। তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, বাইরে থেকে নানা ধরনের চাপ তৈরি হওয়া। বিশেষ করে মায়ের উপর।”
প্যাগফোর্ডে জওয়ানদাসের পরিবারকে যে সব সমস্যার মুখে পড়তে হয় তার মধ্যে সব চেয়ে গুরুতর হল জাতিবিদ্বেষ। লেখিকার দাবি, “বইটিতে আমি সেটাই দেখিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “শিখ ধর্মের প্রচারক গুরু নানক এক বার নদীতে মিলিয়ে গিয়েছিলেন। তিন দিন পর তিনি ফিরে এসে বলেছিলেন, ‘কেউ হিন্দু নয়, কেউ মুসলিম নয়। আমরা সবাই সমান।’ আর এই ভাবনার উপর ভিত্তি করেই গল্পটা লেখা হয়েছে। বলতে চেয়েছি, প্রত্যেকের অন্তরেই রয়েছেন ঈশ্বর। আর তাই ওই পরিবারটির শিখ হওয়া দরকার ছিল।”
|
|
|
নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলিউড
অভিনেত্রী বিপাশা বসু। ছবি: পিটিআই |
শনিবার লতা মঙ্গেশকরের বাড়ির ৭৫তম গণেশ
পুজোর বিসর্জনে এলেন আশা ভোঁসলে। ছবি: পিটিআই |
|